ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

গাজাবাসীর জন্য জরুরি সাহায্য পৌঁছাতে আইসিজের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ছয় মাস ধরে বিরামহীন সংঘাতের মধ্যে অত্যাসন্ন দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় গাজাবাসীর জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

অতিশীঘ্র যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ সপ্তাহের শুরুতে একটি প্রস্তাব পাস হলেও প্রচণ্ড লড়াই ও অব্যাহত বোমাবর্ষণে আবারও কেঁপে উঠছে ভূখণ্ডটি। খবর এএফপির।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইসিজে এক রুলিংয়ে বলেছে, ‘কোনোরকম দেরি করা ছাড়াই ইসরায়েলকে সব ধরনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে গাজায় জরুরি প্রয়োজনীয় সেবা ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী পৌঁছাতে।’

রুলিংয়ে বিচারক বলেন, এসব সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, আশ্রয়, কাপড়, পরিচ্ছন্নতা ও পয়নিষ্কাশনের উপকরণ। পাশাপাশি রয়েছে গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাস্থ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্যসেবার উপকরণ। দি হেগ ভিত্তিক আদালতটি এ সময় বলেন, ‘গাজার ফিলিস্তিনিরা কেবল দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তা ঠিক নয়। বরং, তাদের ওপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে গত জানুয়ারিতে গাজায় সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দিতে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা আরও জোরালো করতে দেশটির প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ এখন বাস্তবতা এবং তা খুব দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। এ ছাড়া শত্রুতাপূর্ণ সংঘাতের কারণে ভেঙে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

যুদ্ধের কারণে গাজা উপকূল পরিত্যক্ত ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে এবং ইসরায়েল সেখানে ২৪ লাখ লোককে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে মাঝেমধ্যে পৌঁছাতে পারছে সাহায্য সামগ্রী। গাজায় বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। আর রাফাহ শহরে পানির ট্যাঙ্ক থেকে পানি নিয়ে কেবল প্লাস্টিকের কন্টেইনারে পানি জমা রাখতে পারছে আশ্রয়প্রার্থী ও বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে মারাম আবু আমরা নামের ঘরহারা এক নারী বলেন, ‘সবকিছুর জন্যই আামাদের লাইন ধরতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে কোনো কোনো সময় আমরা খালি হাতেও ফিরে আসি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজাবাসীর জন্য জরুরি সাহায্য পৌঁছাতে আইসিজের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০২:২১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গত ছয় মাস ধরে বিরামহীন সংঘাতের মধ্যে অত্যাসন্ন দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় গাজাবাসীর জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

অতিশীঘ্র যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ সপ্তাহের শুরুতে একটি প্রস্তাব পাস হলেও প্রচণ্ড লড়াই ও অব্যাহত বোমাবর্ষণে আবারও কেঁপে উঠছে ভূখণ্ডটি। খবর এএফপির।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইসিজে এক রুলিংয়ে বলেছে, ‘কোনোরকম দেরি করা ছাড়াই ইসরায়েলকে সব ধরনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে গাজায় জরুরি প্রয়োজনীয় সেবা ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী পৌঁছাতে।’

রুলিংয়ে বিচারক বলেন, এসব সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, আশ্রয়, কাপড়, পরিচ্ছন্নতা ও পয়নিষ্কাশনের উপকরণ। পাশাপাশি রয়েছে গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাস্থ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্যসেবার উপকরণ। দি হেগ ভিত্তিক আদালতটি এ সময় বলেন, ‘গাজার ফিলিস্তিনিরা কেবল দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তা ঠিক নয়। বরং, তাদের ওপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে গত জানুয়ারিতে গাজায় সাহায্য পাঠানোর অনুমতি দিতে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তা আরও জোরালো করতে দেশটির প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ এখন বাস্তবতা এবং তা খুব দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। এ ছাড়া শত্রুতাপূর্ণ সংঘাতের কারণে ভেঙে পড়ছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

যুদ্ধের কারণে গাজা উপকূল পরিত্যক্ত ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে এবং ইসরায়েল সেখানে ২৪ লাখ লোককে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে মাঝেমধ্যে পৌঁছাতে পারছে সাহায্য সামগ্রী। গাজায় বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। আর রাফাহ শহরে পানির ট্যাঙ্ক থেকে পানি নিয়ে কেবল প্লাস্টিকের কন্টেইনারে পানি জমা রাখতে পারছে আশ্রয়প্রার্থী ও বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে মারাম আবু আমরা নামের ঘরহারা এক নারী বলেন, ‘সবকিছুর জন্যই আামাদের লাইন ধরতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে কোনো কোনো সময় আমরা খালি হাতেও ফিরে আসি।’