ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঈদ ঘিরে ডিজিটাল মাধ্যমে বেড়েছে লেনদেন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদ ঘিরে নানা মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে। দেশের অনেক দোকানেই এখন কেনাকাটা করা যায় ডিজিটাল উপায়ে। আর সারাদিনে যে পরিমাণ বেচাকেনা হয় তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশই ডিজিটাল পেমেন্ট।

ব্যাংকের তুলনায় লেনদেন বেশি হচ্ছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে। তবে উৎসব ঘিরে এ লেনদেন কিছুটা বাড়লেও বছরের বাকিটা সময় তা আশানুরূপ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় জনগোষ্ঠীকে সেবার আওতায় না আনা গেলে বাড়বে না এ মাধ্যমে লেনদেন।

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সারা বছরই পেমেন্ট হয়, কিন্তু ঈদ এলে সেটা বাড়ে কয়েকগুণ। এর কারণ উৎসব ঘিরে বড় ধরনের ক্যাম্পেইন। এই যেমন, ক্রেতাদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দিচ্ছে বিকাশ আর কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কারসহ জমি জেতার সুযোগ দিচ্ছে নগদ।

ঈদে কেনাকাটা করতে আসা এক ব্যক্তি জানালেন, কার্ডে পেমেন্ট করলে আলাদা করে ক্যাশ রাখতে হয় না। তাই এ মাধ্যমেই কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। আরও বলেন, কার্ডে পেমেন্ট করলেই সবচেয়ে ভালো। কোন ক্যাশ সঙ্গে রাখতে হয় না এবং জাল নোট আসারও কোন সম্ভাবনা নেই। এটা খুব ভালো দিক।

শপিং সেন্টারটির অধিকাংশ দোকানেই আছে ৫ থেকে ৭ টি ব্যাংকের পজ মেশিন। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং মিলে কোন কোন দোকানে আবার বেচাবিক্রির প্রায় অর্ধেক হয় ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে।

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং সেন্টারেও প্রায় সব দোকানেই সুবিধা আছে ডিজিটাল লেনদেনের। তার বেশিই হয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে।

বিক্রেতারা বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ কাস্টমারই ডিজিটাল পেমেন্ট করে থাকেন। এ বছর এটা প্রায় দ্বিগুণ ব্যবহার হচ্ছে।

নগদ’র হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিনিউকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল বলেন, ‘আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি পেমেন্ট ও অন্যান্য সেবাগ্রহণ করছে নগদের গ্রাহকরা।’

অন্যদিকে ব্যাংকগুলো কার্ড পেমেন্টে নানা ধরনের অফার দিচ্ছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে পেমেন্ট করলে পাওয়া যাচ্ছে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক, সিটি ব্যাংকের কার্ডে ১০ শতাংশ আর ব্র্যাক ও ইসলামী ব্যাংকের কার্ডে ১৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতা। এছাড়া ঢাকা ব্যাংকসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কেনাকাটায় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।

কিন্তু এত ছাড়ের ছড়াছড়ি থাকলেও আশানুরূপ ডিজিটাল লেনদেন করা যাচ্ছে না। কারণ অধিকাংশ মানুষকে সেবার আওতায় আনা যায়নি। তাই এ ব্যপারে আরও তৎপর হবার আহ্বান খাত বিশেষজ্ঞদের।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘১০ লাখ মানুষের ইকোনমি কিন্তু সারা বাংলাদেশের হিসাব না। ডিজিটালে পেমেন্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২ শতাংশ কেটে রাখা হয়। এটার জন্য অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাই এটা একটা বড় বাঁধা।’

বিবিএস বলছে, দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক প্রায় ২২ কোটি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী প্রায় সাড়ে তিন কোটি হলেও ক্রেডিট কার্ড আছে মাত্র ২৪ লাখ। সেই তুলনায় ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদ ঘিরে ডিজিটাল মাধ্যমে বেড়েছে লেনদেন

আপডেট সময় : ০৭:২৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

ঈদ ঘিরে নানা মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে। দেশের অনেক দোকানেই এখন কেনাকাটা করা যায় ডিজিটাল উপায়ে। আর সারাদিনে যে পরিমাণ বেচাকেনা হয় তার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশই ডিজিটাল পেমেন্ট।

ব্যাংকের তুলনায় লেনদেন বেশি হচ্ছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে। তবে উৎসব ঘিরে এ লেনদেন কিছুটা বাড়লেও বছরের বাকিটা সময় তা আশানুরূপ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় জনগোষ্ঠীকে সেবার আওতায় না আনা গেলে বাড়বে না এ মাধ্যমে লেনদেন।

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সারা বছরই পেমেন্ট হয়, কিন্তু ঈদ এলে সেটা বাড়ে কয়েকগুণ। এর কারণ উৎসব ঘিরে বড় ধরনের ক্যাম্পেইন। এই যেমন, ক্রেতাদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশব্যাক দিচ্ছে বিকাশ আর কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কারসহ জমি জেতার সুযোগ দিচ্ছে নগদ।

ঈদে কেনাকাটা করতে আসা এক ব্যক্তি জানালেন, কার্ডে পেমেন্ট করলে আলাদা করে ক্যাশ রাখতে হয় না। তাই এ মাধ্যমেই কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। আরও বলেন, কার্ডে পেমেন্ট করলেই সবচেয়ে ভালো। কোন ক্যাশ সঙ্গে রাখতে হয় না এবং জাল নোট আসারও কোন সম্ভাবনা নেই। এটা খুব ভালো দিক।

শপিং সেন্টারটির অধিকাংশ দোকানেই আছে ৫ থেকে ৭ টি ব্যাংকের পজ মেশিন। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং মিলে কোন কোন দোকানে আবার বেচাবিক্রির প্রায় অর্ধেক হয় ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে।

রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং সেন্টারেও প্রায় সব দোকানেই সুবিধা আছে ডিজিটাল লেনদেনের। তার বেশিই হয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে।

বিক্রেতারা বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ কাস্টমারই ডিজিটাল পেমেন্ট করে থাকেন। এ বছর এটা প্রায় দ্বিগুণ ব্যবহার হচ্ছে।

নগদ’র হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিনিউকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল বলেন, ‘আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি পেমেন্ট ও অন্যান্য সেবাগ্রহণ করছে নগদের গ্রাহকরা।’

অন্যদিকে ব্যাংকগুলো কার্ড পেমেন্টে নানা ধরনের অফার দিচ্ছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকে পেমেন্ট করলে পাওয়া যাচ্ছে ২০ শতাংশ ক্যাশব্যাক, সিটি ব্যাংকের কার্ডে ১০ শতাংশ আর ব্র্যাক ও ইসলামী ব্যাংকের কার্ডে ১৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতা। এছাড়া ঢাকা ব্যাংকসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কেনাকাটায় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।

কিন্তু এত ছাড়ের ছড়াছড়ি থাকলেও আশানুরূপ ডিজিটাল লেনদেন করা যাচ্ছে না। কারণ অধিকাংশ মানুষকে সেবার আওতায় আনা যায়নি। তাই এ ব্যপারে আরও তৎপর হবার আহ্বান খাত বিশেষজ্ঞদের।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ জাকারিয়া স্বপন বলেন, ‘১০ লাখ মানুষের ইকোনমি কিন্তু সারা বাংলাদেশের হিসাব না। ডিজিটালে পেমেন্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২ শতাংশ কেটে রাখা হয়। এটার জন্য অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তাই এটা একটা বড় বাঁধা।’

বিবিএস বলছে, দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক প্রায় ২২ কোটি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী প্রায় সাড়ে তিন কোটি হলেও ক্রেডিট কার্ড আছে মাত্র ২৪ লাখ। সেই তুলনায় ডিজিটাল লেনদেন হচ্ছে কম।