Dhaka ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ২

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুইজন আহত হন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরা হলেন- একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী দল ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতে প্রবেশ করেন। পরে ভারতীয় গরু নিয়ে বুড়িরহাট সীমান্ত দিয়ে ফেরার সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাকিরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী মারা যান। বাকি দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

এর আগে, ২৫ ও ২৬ মার্চ বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুর ও নওগাঁর পরশা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হন।

Tag :

ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ২

আপডেট : ০২:২৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

লালমনিরহাটের বুড়িরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র (৪৩) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুইজন আহত হন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে সীমান্তের ৯১৩ নম্বর পিলারের একশত গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

মুরুলী চন্দ্র কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের সুশীল চন্দ্রের ছেলে। আহতরা হলেন- একই এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের আজিমুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও নুর ইসলামের ছেলে লিটন মিয়া (৪৩)।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ৪/৫ জনের একটি পাচারকারী দল ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতে প্রবেশ করেন। পরে ভারতীয় গরু নিয়ে বুড়িরহাট সীমান্ত দিয়ে ফেরার সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে বাকিরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রংপুরে নেওয়ার পথে মুরুলী মারা যান। বাকি দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, একজনের মরদেহ আমরা উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছি।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

এর আগে, ২৫ ও ২৬ মার্চ বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুর ও নওগাঁর পরশা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হন।