শ্রীলঙ্কার জন্য আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন
- আপডেট সময় : ০৩:০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
- / ৪০৩ বার পড়া হয়েছে
শ্রীলঙ্কার জন্য আর্থিক সহায়তার ধারা বজায় রাখার বিষয়ে চীন তার প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। আজ শনিবার (৩০ মার্চ) আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফর শেষে এই আশ্বাস দেওয়া হয় চীনের পক্ষ থেকে। খবর এএফপির।
গত সোমবার চীন সফরে আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দিনেশ গুনাবর্ধনে। এই সফরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও বোয়াও ফোরাম নামে পরিচিত একটি হাই প্রোফাইল আন্তর্জাতিক বৈঠকে যোগদান করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটির মোট বৈদেশিক ঋণের ১০ ভাগেরও বেশি অর্থ সংস্থানকারী দেশ হিসেবে চীন সফরের সময় গুনাবর্ধনের সঙ্গে আলোচনায় শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রসঙ্গই বেশি আলোচিত থাকে।
গতকাল শুক্রবার বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চীন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আলোচনায় সক্রিয় থাকতে ইচ্ছুক। পাশাপাশি অন্যান্য অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ও আইএমএফের সঙ্গে ইতিবাচক ভূমিকা ধরে রাখতে চায়।
দুপক্ষ কলম্বো বন্দর এবং হামবানটোটো উন্নয়ন প্রকল্পকে ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর হামবানটোটাকে অপচয়ের প্রকল্প হিসেবে বিবেচbf করা হতো। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের আমলে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। রাজাপাকসে তার দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য চীনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছিলেন আর এ কারণেই শ্রীলঙ্কা গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৭ সালে হামবানটোটার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে শ্রীলঙ্কা এই বন্দরটি চায়না মার্চেন্ট গ্রুপের কাছে ৯৯ বছরের লিজের মাধ্যমে হস্তান্তর করে।
এছাড়া ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে শুরু হয় চরম অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা। দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে প্রয়োজনীয় খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ কিনতে পারছিল না।
এরপর নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে আইএমএফের কাছ থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পায় দেশটি।
গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়ে সম্মত হয় চীন। তবে চীন বা শ্রীলঙ্কা কোনো দেশই এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। আর এ বিষয়ে কোনো চুক্তিও করেনি দেশ দুটি। তবে শ্রীলঙ্কা সরকার বলেছে আগামী এপ্রিলের মধ্যে ঋণ পুনর্গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে।