ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ নিয়ে কাদেরের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ফ্রি স্টাইলে দল চলতে পারে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এমপি, প্রভাব বিস্তার করব। আমার একজন থাকবে। তাকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এটা হতে পারে না। কেউ হস্তক্ষেপ করবে এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। আপনাদের অনুরোধে উম্মুক্ত নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়েও নৌকা দিয়েছি। এইবার উম্মুক্ত করে দিয়ে এইটা আমরা দেখতে চাই এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ফেয়ার হয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উম্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। উপজেলায় নির্বাচন সম্পূর্ণ ফ্রি এন্ড ফেয়ার করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

সংগঠন যখন আছে, সমস্যাও থাকবে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল, বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাঁট বেঁধে নামতে চাই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নজর দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন সেটার দায়িত্ব দল নেবে না। একটা দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানে। তাতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের মাঝে সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ওয়াল আছে তা ভেঙে দিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আবুল হাছান মাহমুদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ নিয়ে কাদেরের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৩:২৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ফ্রি স্টাইলে দল চলতে পারে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এমপি, প্রভাব বিস্তার করব। আমার একজন থাকবে। তাকে জেতানোর জন্য গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এটা হতে পারে না। কেউ হস্তক্ষেপ করবে এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। আপনাদের অনুরোধে উম্মুক্ত নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়েও নৌকা দিয়েছি। এইবার উম্মুক্ত করে দিয়ে এইটা আমরা দেখতে চাই এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কতটা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ফেয়ার হয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই ইলেকশন উম্মুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায় করুক। উপজেলায় নির্বাচন সম্পূর্ণ ফ্রি এন্ড ফেয়ার করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সারা বিশ্ব নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। ৮১টি দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে ৩২টি সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

সংগঠন যখন আছে, সমস্যাও থাকবে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল, বড় দলে কখনো কখনো কিছু সমস্যা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বাধাগ্রস্ত করে। আমরা এবার প্রথম থেকেই আটঘাঁট বেঁধে নামতে চাই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা নজর দিয়েছি। কিছু কিছু জেলায় সমস্যার ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। যার যেমন খুশি যখন-তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন সেটার দায়িত্ব দল নেবে না। একটা দুইটা বক্তব্য পুরো দলের শৃঙ্খলার ওপর আঘাত হানে। তাতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। জেলার সঙ্গে উপজেলা, উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের মাঝে সাংগঠনিক সেতু তৈরি করতে হবে। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ওয়াল আছে তা ভেঙে দিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আবুল হাছান মাহমুদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।