Dhaka ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের মুক্তিতে দেরি হবে না

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অগ্রগতি না হলেও সোমালিয়ার জলদস্যুরা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। মজুত খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দস্যুরা নিজেরাই তাদের খাবার সংগ্রহ করছে। মালিকপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কৌশল বুঝে আলোচনা এগিয়ে নিলে নাবিকদের মুক্তিতে দেরি হবে না।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সেসময় জাহাজটিতে ২৫ দিনের খাবার ও ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুত ছিল। এরই মধ্যে জিম্মি দশার ১৭ দিন পার হয়েছে। প্রথম দিকে ২৩ জন নাবিকের জন্য রাখা খাবারে ভাগ বসায় দস্যুরা। কিছুদিনের মধ্যে সংকট তৈরি হলে জলদস্যুরা খাবার সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ। অনেক সময় নাবিকদেরও খাবার দিচ্ছে তারা।

এটি খুব ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে মালিকপক্ষের আশা, দস্যুদের সঙ্গে চলমান আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি হল ২৩ নাবিকের প্রাণ। যে কোনো মূল্যে যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন নাবিকেরা ঠিক থাকেন, এটাই আমাদের চাওয়া।’

অন্যদিকে মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী মনে করছেন, কৌশল বুঝে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া গেলে নাবিকদের মুক্তিতে বেশি সময় লাগবে না। তিনি জানান, অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় দস্যুদের সঙ্গে ভালোভাবে আলোচনা এগোলেই সমাধান সম্ভব। ওদেরকে বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বোঝাতে পারলে, কম্পেনসেশন ক্লেইমটা কমিয়ে আনতে পারলে এক মাসের মধ্যেই নাবিকদের মুক্তি সম্ভব।

এমভি আব্দুল্লাহর জিম্মি নাবিকদের মুক্তিতে দেরি হবে না

আপডেট : ১২:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অগ্রগতি না হলেও সোমালিয়ার জলদস্যুরা ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। মজুত খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দস্যুরা নিজেরাই তাদের খাবার সংগ্রহ করছে। মালিকপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কৌশল বুঝে আলোচনা এগিয়ে নিলে নাবিকদের মুক্তিতে দেরি হবে না।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সেসময় জাহাজটিতে ২৫ দিনের খাবার ও ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুত ছিল। এরই মধ্যে জিম্মি দশার ১৭ দিন পার হয়েছে। প্রথম দিকে ২৩ জন নাবিকের জন্য রাখা খাবারে ভাগ বসায় দস্যুরা। কিছুদিনের মধ্যে সংকট তৈরি হলে জলদস্যুরা খাবার সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ। অনেক সময় নাবিকদেরও খাবার দিচ্ছে তারা।

এটি খুব ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে মালিকপক্ষের আশা, দস্যুদের সঙ্গে চলমান আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি হল ২৩ নাবিকের প্রাণ। যে কোনো মূল্যে যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন নাবিকেরা ঠিক থাকেন, এটাই আমাদের চাওয়া।’

অন্যদিকে মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী মনে করছেন, কৌশল বুঝে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া গেলে নাবিকদের মুক্তিতে বেশি সময় লাগবে না। তিনি জানান, অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় দস্যুদের সঙ্গে ভালোভাবে আলোচনা এগোলেই সমাধান সম্ভব। ওদেরকে বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বোঝাতে পারলে, কম্পেনসেশন ক্লেইমটা কমিয়ে আনতে পারলে এক মাসের মধ্যেই নাবিকদের মুক্তি সম্ভব।