ইসরায়েলে বিশাল বিক্ষোভ, চাপের মুখে নেতানিয়াহু
- আপডেট সময় : ১২:৪২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
গাজায় গণহত্যার হোতা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও জিম্মিদের জীবিত ফেরত পেতে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল জেরুজালেম। গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) পরপর দ্বিতীয় রাতের মতো গণবিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক।এমন অবস্থায় গাজার হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ জারি রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী।
গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখে পড়লো নেতানিয়াহু সরকার। রাজপথে নামা হাজারো মানুষের ঢলের একাংশ ইসরাইলের পার্লামেন্ট ঘিরে অবস্থান নেয়। হামাসের কাছে বন্দি জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে প্রাধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবি তোলেন তারা।
অবিলম্বে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার দাবিও তোলেন বিক্ষুব্ধরা। বেলা গড়িয়ে রাত হলে ওই বিক্ষোভে পুলিশের বাধা শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
দুই রাতেই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তেল আবিবের ডানা রাবফোগেল শর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতানিয়াহু যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ ও অবস্থান। তিনি বলেন, ‘জনগণ ক্লান্ত। তারা নির্বাচন চায়।’
হামাসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে অনেক বিক্ষোভকারীকে এ সময় নেতানিয়াহুর রক্ত মাখানো মুখের ছবি সম্বলিত প্লেকার্ড বহন করতে দেখা যায়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে সবকিছুর জন্য দায়ী করে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া লোকজন অতিদ্রুত দেশে নির্বাচনের দাবি জানান।
পদত্যাগের দাবিতে যখন রাজপথ উত্তাল তখন ওই শহরেরই এক হাসপাতাল হার্নিয়ার অপারেশন হয়েছে নেতানিয়াহুর। খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এমন অবস্থায় মোহাম্মদ মোস্তফার নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিয়েছে। শপথ পড়ান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পররাষ্ট্রমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোস্তফা।
এদিকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার আল-শিফা, আল-আকসা হাসপাতাল ছাড়াও বেসামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। এতে ওই দুই হাসপাতালেই নিহত হয় রোগীসহ অন্তত ২৫ জন।
এনিয়ে, গত প্রায় ছয় মাসে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৩২ হাজার ৭৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।