কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে আন্দোলনে আছেন শিক্ষকদের একটি অংশ। এরই মাঝে ১১ শিক্ষক প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন। তবে উপাচার্যের দাবি, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কয়েকজন শিক্ষক এই আন্দোলন করছেন।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ২০ মার্চ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের হাউস টিউটর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন চার শিক্ষক। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন নৃ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আইনুল হক। এর আগে, ৬ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে কয়েক ধাপে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি নেন দুই সহকারী প্রক্টরসহ ছয় জন।
উপাচার্যের অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধনও করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। একটি অংশ বর্তমানে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে আছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানান, শিক্ষকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের দমন-পীড়ন, নির্যাতনসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হত।
নৃ বিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান আইনুল হক বলেন, ‘আমরা একাধিকবার আমাদের নানা প্রয়োজন, দাবি-দাওয়া উপাচার্য মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করলেও সেগুলো নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে তিনি কোনো আলোচনা করেননি। কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজকে শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জনের মতো এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।’
তবে প্রশাসন ও শিক্ষকদের অপর একটি পক্ষ বলছে, নিয়ম মতোই বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন উপাচার্য। আর অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উপাচার্য বলেন, সকল নিয়োগ আইন মেনেই হচ্ছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান জানান, উপাচার্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের সঠিক মূল্যায়নের জন্য ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ থেকে শুরু করে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, ‘নিয়ম মানতে গিয়ে বা ভালো কাজ করতে যেয়ে কার কোনটা ক্ষতি হচ্ছে, কে কোন সুবিধা পেল না সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। কারণ এখানে আমি কাজ করতে এসেছি, পপুলার ভাইস চ্যান্সেলর হতে নয়।’
শিক্ষক রাজনীতির কারণে যেন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়, সে দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।