তুরস্কে স্থানীয় নির্বাচন: এরদোয়ানের দলের পরাজয়
- আপডেট সময় : ১২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রধান নগরীগুলোতে বড় জয় পাওয়ার দাবি করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি। এমন দাবির পরে ধারণা করা হচ্ছে, ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তাঁর জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সবচেয়ে বড় পরাজয় হতে যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ইস্তাম্বুলে স্থানীয় নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। শহরটির মেয়র সিএইচপি পার্টির একরেম ইমামোগলু জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।
ভোটের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক ব্যবসায়ী ইমামোগলু জানিয়েছেন, যারা জাতির বার্তা বোঝে না তারা শেষ পর্যন্ত হেরে যাবে। আজ রাতে ইস্তাম্বুলের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছে সিএইচপি দলীয় মেয়র মনসুর ইয়াভাস। তুরস্কের তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও এগিয়ে আছে সিএইচপি।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতেই জয় পেয়েছে সিএইচপি।
এদিকে ভোটে এগিয়ে থাকার খবর পাওয়ার পর বিরোধী সমর্থকেরা উদযাপন করতে ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ মশাল জ্বালিয়ে এবং তুর্কি পতাকা নেড়ে ভোটের ফল উদযাপন করে।
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, সারা দেশে তাঁর দলের জনপ্রিয়তা কমেছে।
তিনি বলেন, এই ফল মূল্যায়ন করে ভুলগুলো সংশোধন করা হবে।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের নির্বাচনে সিএইচপির ইমামোগলু হারিয়ে দিয়েছিলেন এরদোয়ান ও তাঁর দলকে। দুই দশক পর তিনি ইস্তাম্বুলকে এরদোয়ানের হাতছাড়া করেছিলেন। এবারের পরাজয়ও এরদোয়ানের জন্য বড় আঘাত বিবেচিত হতে পারে। তিনি এই নগরীতে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠেন। ১৯৯০ এর দশকে এখানেই তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি এখানে জয়ের আশা করেছিলেন।
তুরস্কের প্রায় ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটার ৮১টি প্রদেশের মেয়র, প্রাদেশিক পরিষদ এবং আরও বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় কর্মকর্তা নির্বাচনের জন্য অংশ নেয়।
এই জয়ের ফলে ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একে পার্টির বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।