আগামী বছরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন
- আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য রোসাটমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ জানিয়েছেন, আরএনপিপির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত যোগ করতে সক্ষম হবে।
রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ আজ মঙ্গলবার ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এই কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান ফেডারেশনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের ‘স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ ফিরিয়ে নেওয়ার সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তার উত্তরে, রোসাটম মহাপরিচালক রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আরএনপিপি’র প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিট দ্বারা ব্যয়কৃত পারমাণবিক জ্বালানি রাশিয়ান ফেডারেশনে ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষ করে বাংলাদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এজন্য তিনি রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে রাশিয়ার সহায়তার কথা এবং মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশটির সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান।
রোসাটম মহাপরিচালক আরএনপিপি এলাকায় দুটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের প্রস্তাবও দেন। তিনি বলেন, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪ এর নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আলেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্প্রসারণ আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রযুক্তিগত ও পারমাণবিক নিরাপত্তার আলোকে অধিক লাভজনক এবং যুক্তিসঙ্গত যা আন্তর্জাতিকভাবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদশি ও রাশিয়ানসহ প্রায় ২৫০০ কর্মী এই প্রকল্পে কাজ করছেন যারা তাদের দক্ষতা অর্জন করেছেন। আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, মহামারি এবং স্যাংশনের জন্য প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু তা সত্বেও স্বাভাবিক গতিতেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।