Dhaka ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি বোমায় বিদেশি ত্রাণকর্মী নিহত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বোমায় অন্তত ৫ জন দেশি-বিদেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। এই ত্রাণকর্মীদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি এবং অন্যান্যরা পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনের নাগরিক। নিহত ত্রাণকর্মীরা সবাই খাদ্য সহায়তা বিষয়ক মার্কিন দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিনিধি হিসেবে গাজায় খাদ্য সহায়তা বিতরণে এসেছিলেন।

সোমবার (৩ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ডব্লিউসিকের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে গাজার ফিলিস্তিনিদের খাদ্য বিতরণের সময় আইডিএফের বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সদস্যরা নিহত হয়েছেন। এটি খুবই হৃদয় বিদারক ঘটনা। মানবিক সহায়তা কর্মী এবং বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা উচিত নয়। কখনও নয়।’

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা চালিয়েছে আইডিএফ।

অন্যদিকে হামাসের এই অভিযোগকে অস্বীকার করে পাল্টা এক বিবৃতিতে আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী কখনোই গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিপক্ষে নয়। ডব্লিউসিকে’র ৫ কর্মী নিহতের ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলেও উল্লেখ করেছে আইডিএফ।

‘গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ নিরাপদ রাখতে আইডিএফ সর্বদা সচেষ্ট এবং সেখানকার লোকজনকে ত্রাণ প্রদানের কাজে ডব্লিউসিকে’র সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আইডিএফ,’ বিবৃতিতে বলেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

হামলায় নিহত ৪৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় ত্রাণকর্মীর নাম লালজাওমি জোমি ফ্র্যাঙ্ককম, যিনি ডব্লিউসিকের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গত ৫ বছর ধরে কাজ করছিলেন।

মার্কিন শেফ জোসে অ্যান্দ্রেস ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বৈশ্বিক খাদ্য ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন। ওই বছর ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতিতে তৈরী খাবার এবং খাদ্যদ্রব্য ত্রাণ হিসেবে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি।

গাজায় ইসরায়েলি বোমায় বিদেশি ত্রাণকর্মী নিহত

আপডেট : ০১:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বোমায় অন্তত ৫ জন দেশি-বিদেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন। এই ত্রাণকর্মীদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি এবং অন্যান্যরা পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনের নাগরিক। নিহত ত্রাণকর্মীরা সবাই খাদ্য সহায়তা বিষয়ক মার্কিন দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) প্রতিনিধি হিসেবে গাজায় খাদ্য সহায়তা বিতরণে এসেছিলেন।

সোমবার (৩ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ডব্লিউসিকের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে গাজার ফিলিস্তিনিদের খাদ্য বিতরণের সময় আইডিএফের বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সদস্যরা নিহত হয়েছেন। এটি খুবই হৃদয় বিদারক ঘটনা। মানবিক সহায়তা কর্মী এবং বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা উচিত নয়। কখনও নয়।’

এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এই হামলা চালিয়েছে আইডিএফ।

অন্যদিকে হামাসের এই অভিযোগকে অস্বীকার করে পাল্টা এক বিবৃতিতে আইডিএফ দাবি করেছে, ইসরায়েলি বাহিনী কখনোই গাজায় ত্রাণ সরবরাহের বিপক্ষে নয়। ডব্লিউসিকে’র ৫ কর্মী নিহতের ঘটনাকে ‘মর্মান্তিক’ বলেও উল্লেখ করেছে আইডিএফ।

‘গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ নিরাপদ রাখতে আইডিএফ সর্বদা সচেষ্ট এবং সেখানকার লোকজনকে ত্রাণ প্রদানের কাজে ডব্লিউসিকে’র সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আইডিএফ,’ বিবৃতিতে বলেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

হামলায় নিহত ৪৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় ত্রাণকর্মীর নাম লালজাওমি জোমি ফ্র্যাঙ্ককম, যিনি ডব্লিউসিকের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গত ৫ বছর ধরে কাজ করছিলেন।

মার্কিন শেফ জোসে অ্যান্দ্রেস ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বৈশ্বিক খাদ্য ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন। ওই বছর ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতিতে তৈরী খাবার এবং খাদ্যদ্রব্য ত্রাণ হিসেবে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি।