Dhaka ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জার্মানির জার্সি নিয়ে মুহূর্তেই সমালোচনা

দরজায় কড়া নাড়ছে ইউরো। আগামী জুনে জার্মানিতে শুরু হবে ইউরোপ সেরার লড়াই। ইউরোর জন্য নতুন ডিজাইনের জার্সি উন্মোচন করে ডিএফবি। বরাবরের মতোই অ্যাডিডাস বানিয়েছে এই জার্সি। কিন্তু নতুন ডিজাইনের জার্সি নিয়ে মুহূর্তেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। ৪৪ নম্বর জার্সি নিয়ে তো রীতিমতো হৈচৈ লেগে যায় দেশজুড়ে। বিপাকে পড়ে শেষমেষ নতুন করে জার্সি নম্বর ডিজাইনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাডিডাস ও ডিএফবি।

মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেনে এই সমালোচনা? এর উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে গত শতাব্দীতে। নির্দিষ্ট করে বললে হিটলারের আমলে। বিশ্বে জার্মানির হারানো গৌরব প্রতিষ্ঠায় নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়নে নাৎসি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিটলার। প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বিরোধীদের ভয় দেখানো বা নির্মূল করার জন্য নাৎসি বাহিনীর মধ্যে আবার একাধিক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম শুটস শ্টাফল (এসএস) গ্রুপ।

আধা সামরিক এ বাহিনীটি এতটাই বর্বর ছিল যে, এতদিন পরে এসেও এর নাম শুনলে আতকে ওঠে অনেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কাজের জন্য দেশ-বিদেশে অত্যন্ত বিতর্কিত হয়েছিল নাৎসির এসএস বাহিনী। এ বাহিনীর একটি বিশেষ প্রতীক ছিল, আর্মেনিয়ান ফন্টে ডাবল এস এমনভাবে লেখা যা একটু ভিন্নভাবে দেখলেই ইংরেজিতে চুয়াল্লিশ মনে হয়।

সম্প্রতি জার্মানি যে নতুন জার্সি প্রকাশ করে, তার ফন্টটি নিয়েই ঝামেলা। অন্য সংখ্যাগুলো বেশ সুন্দর দেখালেও ঝামেলা হচ্ছে ৪ নিয়ে। বিশেষ করে যখন জার্সি নম্বর ৪৪ হয়, তখন এই বিশেষ ফন্টের কারণে তা দেখতে অনেকটা এসএস গ্রুপের প্রতীকের সঙ্গে মিলে যায়। এ বিষয়টি মানতে পারছেন না দেশটির সমর্থকেরা।

বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে অ্যাডিডাস। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অলিভার ব্রুগেন জানিয়েছেন, নাৎসি প্রতীকের সঙ্গে মিলে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ছিল। এক বিবৃতিতে ব্রুগেন বলেছেন, ‘কোম্পানি হিসেবে আমরা জাতিবিদ্বেষ, ইহুদি-বিদ্বেষ, সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল-এ (সাবেক টুইটার) বিষয়ে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছ, ‘ডিবিএফ ০-৯ (জার্সি) নম্বর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উয়েফার অনুমোদনের জন্য ১-২৬ নম্বর জমা দিয়েছিল। সেসময় কোনো পক্ষই জার্সির ডিজাইনের সঙ্গে নাৎসির কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি। তারপরেও বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং আলোচনার কোনো সুযোগ দিতে চাই না। আমাদের পার্টনার ইলেভেন টিম স্পোর্টসের সঙ্গে বসে আমরা ৪ নম্বরের জন্য একটি আলাদা ডিজাইন তৈরি করব এবং পরে উয়েফার সঙ্গে সমন্বয় করে নেব।’

জার্মানির জার্সি নিয়ে মুহূর্তেই সমালোচনা

আপডেট : ০১:৪২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

দরজায় কড়া নাড়ছে ইউরো। আগামী জুনে জার্মানিতে শুরু হবে ইউরোপ সেরার লড়াই। ইউরোর জন্য নতুন ডিজাইনের জার্সি উন্মোচন করে ডিএফবি। বরাবরের মতোই অ্যাডিডাস বানিয়েছে এই জার্সি। কিন্তু নতুন ডিজাইনের জার্সি নিয়ে মুহূর্তেই সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। ৪৪ নম্বর জার্সি নিয়ে তো রীতিমতো হৈচৈ লেগে যায় দেশজুড়ে। বিপাকে পড়ে শেষমেষ নতুন করে জার্সি নম্বর ডিজাইনের ঘোষণা দিয়েছে অ্যাডিডাস ও ডিএফবি।

মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেনে এই সমালোচনা? এর উত্তর পেতে ফিরে যেতে হবে গত শতাব্দীতে। নির্দিষ্ট করে বললে হিটলারের আমলে। বিশ্বে জার্মানির হারানো গৌরব প্রতিষ্ঠায় নিজের ইচ্ছা বাস্তবায়নে নাৎসি বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিটলার। প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বিরোধীদের ভয় দেখানো বা নির্মূল করার জন্য নাৎসি বাহিনীর মধ্যে আবার একাধিক গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম শুটস শ্টাফল (এসএস) গ্রুপ।

আধা সামরিক এ বাহিনীটি এতটাই বর্বর ছিল যে, এতদিন পরে এসেও এর নাম শুনলে আতকে ওঠে অনেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কাজের জন্য দেশ-বিদেশে অত্যন্ত বিতর্কিত হয়েছিল নাৎসির এসএস বাহিনী। এ বাহিনীর একটি বিশেষ প্রতীক ছিল, আর্মেনিয়ান ফন্টে ডাবল এস এমনভাবে লেখা যা একটু ভিন্নভাবে দেখলেই ইংরেজিতে চুয়াল্লিশ মনে হয়।

সম্প্রতি জার্মানি যে নতুন জার্সি প্রকাশ করে, তার ফন্টটি নিয়েই ঝামেলা। অন্য সংখ্যাগুলো বেশ সুন্দর দেখালেও ঝামেলা হচ্ছে ৪ নিয়ে। বিশেষ করে যখন জার্সি নম্বর ৪৪ হয়, তখন এই বিশেষ ফন্টের কারণে তা দেখতে অনেকটা এসএস গ্রুপের প্রতীকের সঙ্গে মিলে যায়। এ বিষয়টি মানতে পারছেন না দেশটির সমর্থকেরা।

বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে অ্যাডিডাস। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অলিভার ব্রুগেন জানিয়েছেন, নাৎসি প্রতীকের সঙ্গে মিলে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ছিল। এক বিবৃতিতে ব্রুগেন বলেছেন, ‘কোম্পানি হিসেবে আমরা জাতিবিদ্বেষ, ইহুদি-বিদ্বেষ, সহিংসতা ও ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিকে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল-এ (সাবেক টুইটার) বিষয়ে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছ, ‘ডিবিএফ ০-৯ (জার্সি) নম্বর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উয়েফার অনুমোদনের জন্য ১-২৬ নম্বর জমা দিয়েছিল। সেসময় কোনো পক্ষই জার্সির ডিজাইনের সঙ্গে নাৎসির কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি। তারপরেও বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং আলোচনার কোনো সুযোগ দিতে চাই না। আমাদের পার্টনার ইলেভেন টিম স্পোর্টসের সঙ্গে বসে আমরা ৪ নম্বরের জন্য একটি আলাদা ডিজাইন তৈরি করব এবং পরে উয়েফার সঙ্গে সমন্বয় করে নেব।’