তৃতীয়বারের মতো মিসরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি । মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দেশটির নতুন রাজধানীতে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে সিসি নির্বাচনে জয় লাভ করেন। ওই সময় তিনি ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পান। নির্বাচনে তাকে টেক্কা দেওয়ার মতো কোনো শক্তিশালী প্রার্থীই ছিলেন না। ফলে মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সিসি আবারও দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
সিসি এমন সময় আবারও মিসরের প্রেসিডেন্ট হলেন যখন তার পাশ্বর্বতী দেশ ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ চলছে।
২০১৪ সালে অবৈধভাবে প্রথমবার ক্ষমতা দখলের পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মিসরে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেন সিসি। এছাড়া তিনি দেশটির নতুন প্রশাসনিক রাজধানী তৈরির কাজ হাতে নেন। তার মতে, দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন এবং বিপুল জনগণের থাকার জায়গা করতে এসব অবকাঠামো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
রাজধানী কায়রোর পূর্ব দিকের মরুভূমিতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে নতুন প্রশাসনিক রাজধানী। এরমধ্যে রয়েছে সুয়েজ খালের পরিধি বৃদ্ধি করা, বিসৃস্তত রাস্তাঘাট এবং নতুন শহর তৈরি করা।
তবে সমালোচকদের মতে, এই নতুন রাজধানীর তৈরির কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে মিসর। কারণ দেশের সব সম্পদ এখানেই ব্যয় করা হচ্ছে।
এছাড়া সিসির বিরুদ্ধে বিরোধী দল ও মতের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তার দলের যেসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা এখনো জেলের ভেতর রয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স