ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ (মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ভারত থেকে পেঁয়াজ আনা নেয়ার জন্য আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। পেঁয়াজ আনা, দরদাম ঠিক করা, বাজারমূল্য ঠিক করা সব আমরা নিজেরা বসে করেছি।'
তিনি বলেন, 'পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে কমে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। যদি কমে যেত তাহলে আমরা সমস্যায় পড়তাম। তারপরও আমরা সে ঝুঁকিটা নিয়েছি। এ ঝুঁকি এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি।'
রোজা শেষ হওয়ার আগে পেঁয়াজ দেশে আনা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'পেঁয়াজ দিল্লি থেকে লোডিং হয়ে দর্শনা হয়ে সিরাজগঞ্জ হয়ে ট্রাকে করে আজকে ঢাকাতে আসছে। টিসিবির সভাপতি একটা পেঁয়াজও নষ্ট হতে দেয়নি।'
পেঁয়াজের দাম নির্ধারণের বিষয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'ভারত এ পেঁয়াজ আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে বিক্রি করছে। সেখানে আমাদের জন্য ৮০০ ডলার নির্ধারিত ছিল। আমরা তাতেও নিতে চাইনি। ভোক্তাপর্যায়ে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে দাম।'
ভারত থেকে বাকি পেঁয়াজ ধারাবাহিকভাবে আসবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজ ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে।’
বাজারে তেল-চিনি-ডালের দাম এখন নিম্নমুখী। ঈদেও দাম বৃদ্ধির কোন আশঙ্কা নেই বলেও জানান আহসানুল ইসলাম টিটু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসানসহ অনেকে।