চলতি বছরের মার্চ মাসে মোট ২৪৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১২১ জন কন্যা এবং ১২৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪১ জন কন্যাসহ ৫৪ জন। তারমধ্যে ১২ জন কন্যাসহ ১৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ১ জন কন্যাসহ ২ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪ জন কন্যাসহ ৭ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল এই প্রতিবেদন পাঠায় মহিলা পরিষদ। মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১০ জন কন্যাসহ ১২ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৯ জন কন্যাসহ ১০ জন। বিভিন্ন কারণে ৩ জন কন্যাসহ ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ২ জন কন্যাসহ ৪ টি। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন ৩ জন, এরমধ্যে ১ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুর হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ জন কন্যাসহ ৬ জন, এরমধ্যে ১ জন কন্যাসহ ৩ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মার্চ মাসে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৭ জন, এরমধ্যে ৪ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫টি। ২ জন কন্যা গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ১ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৮ জন কন্যাসহ ২১ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৮ জন কন্যাসহ ২০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে ১ জন কন্যাসহ ৩ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। ১২ জন কন্যা অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, গত মাসে ৩ জন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা ঘটনা ঘটেছে। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে ১ জন। ১ জন কন্যাসহ ২ জন পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১ টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৩ টি। এছাড়া ৯ জন কন্যাসহ ২৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।