আগামী ২০ জুলাই ইউটিউবার থেকে বক্সার বনে যাওয়া জ্যাক পলের সঙ্গে রিংয়ে নামবেন মাইক টাইসন। তার ২০ দিন আগেই ৫৮ বছর পূর্ণ করবেন বিতর্কিত এই কিংবদন্তি বক্সার। কিন্তু টাইসনের দাবি, বর্তমান তারকাদের চেয়ে এখনো দর্শক টানার ক্ষমতা তাঁর বেশি।
আরলিংটনের ৮০ হাজার আসনের এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামের এই লড়াই নেটফ্লিক্সে লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টাইসন বলেছেন, ‘আমার বয়স ৫৮ এবং তাতে কী? কারও সঙ্গে শুধু লড়াই নিয়ে কথা বলেই কোটি কোটি ভিউ পাই। সবাই, এমনকি অধিকাংশ অ্যাথলেট, ওরা ঈর্ষান্বিত, এটা বিস্ময়কর… আমি তো বলি নিজেদের সেরা সময়েও অনেকে লাখ মানুষকে টানতে পারে না। কী বলেন আপনারা, অ্যারেনার সব টিকিট বিক্রি হয় না। ৫৮ বছর বয়সে ৮০ হাজার সিটের অ্যারেনার সব টিকিট কে বিক্রি করতে পারে?’
‘আইরন মাইক’ নামে পরিচিত টাইসন নিজের ক্যারিয়ারে ৫৮টি লড়াইয়ে মাত্র ৬টিতে হেরেছেন টাইসন। এর মধ্যে ৪৪টি লড়াইয়েই প্রতিপক্ষকে নকআউট করেছেন। ওদিকে ২৭ বছর বয়সী পল এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে জিতেছেন, হেরেছেন একটিতে। তাঁর ছয়টি লড়াই-ই শেষ হয়েছে নকআউটে।
বলা যায় সেরা সময়েই আছেন পল। এমন একজন তবু তাঁকেই কেন লড়াইয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, একেই তাঁর তারকাখ্যাতির প্রমাণ মেনেছেন টাইসন, ‘আপনার কী ধারণা অন্য কাউকে বাদ দিয়ে কেন আমার সঙ্গে লড়তে চাইছে? সবাই ওর সঙ্গে লড়তে চায়, সব বক্সার ওর সঙ্গে ম্যাচ চায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে লড়তে ওই ম্যাচ শুধু ওদের মতো লোকজন দেখতে আসত।’
২০২০ সালে একটি প্রদর্শনী ফাইটের পর এই প্রথম রিংয়ে নামবেন টাইসন। ২০০৫ সালে পেশাদার বক্সিং থেকে অবসর নিয়েছেন তবু মানুষের এখনো তাঁকে নিয়ে আগ্রহ অনেক। টাইসন বলছেন, এ কারণেই অর্থ কামাতে পল তাঁর সঙ্গে নামছেন লড়তে, ‘অন্যরা লড়লে তাদের মা-বাবাও হয়তো দেখতে আসবে না। একদম সত্যিটা বললাম। ওরা এত বিরক্তিকর যে ওদের বাচ্চারাও সে লড়াই দেখবে না, অনেকটা ঘাস বড় হুয়া দেখতে যেমন লাগে, তেমন।’
এখনো কোনো ঘোষণা না এলেও, এই ম্যাচকে আনুষ্ঠানিক ফাইট নয়, প্রদর্শনী ম্যাচ হিসেবেই ধরা হবে বলে জানা গেছে। এর অর্থ প্রথাগত লড়াইয়ের তিন মিনিটের নয়, দুই মিনিটের রাউন্ড হবে। এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ভারী গ্লাভস পরা যাবে এবং কোনো বিচারক থাকবে না। ফলে শুধু নকআউট হলেই বিজয়ী ঘোষণা করা যাবে।