কুরআন নাজিলের রাত শবে কদর চেনার ৫ আলামত
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস। শবে কদর কুরআন নাজিলের রাত। এ রাতেই পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে নবী হজরত মুহাম্মাদ সা.-এর প্রতি পবিত্র কুরআন নাজিল করেন। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে শবে কদর কবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে রাতটি চেনার কিছু আলামতের কথা বিভিন্ন হাদিসে পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ হাদিসে কদরের রাত চেনার বেশ কিছু আলামতের কথা এসেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
প্রথম আলামত : শবে কদরের একটি আলামত হচ্ছে সূর্যের তেজ কম থাকা। সূর্যোদয়ের সময় তীব্র ঝলকানি থাকবে না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘…ওই রাতের আলামত বা লক্ষণ হলো, রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে। কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোনো তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না। (মুসলিম : ১৬৭০)
দ্বিতীয় আলামত : রাতে বিশেষ আরাম বোধ হবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরের রাতটি হবে প্রফুল্লময়। না গরম, না ঠান্ডা। সেদিন সূর্য উঠবে লালবর্ণে, তবে দুর্বল থাকবে।’ (ইবনে খুযাইমা : ২১৯২)
তৃতীয় আলামত : রাতের বাতাস হবে বিশেষ প্রশান্তিদায়ক। হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা) বলেন, ‘লাইলাতুল কদর শেষ ১০ রজনীতে রয়েছে। যে এই রাতে নিজের (আমলের) হিসাব নিতে দাঁড়াবে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের এবং পরের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আর এই রাত্রি আছে বেজোড় রাত্রিগুলোতে : নবম, সপ্তম, পঞ্চম, তৃতীয় এবং শেষ রাত।’
নবীজি আরও বলেন, ‘লাইলাতুল কদরের আলামত হচ্ছে, স্বচ্ছ রাত, যে রাতে চাঁদ উজ্জ্বল হবে, আবহাওয়ায় প্রশান্তি (সাকিনা) থাকবে। না ঠান্ডা, না গরম। সকাল পর্যন্ত (আকাশে) কোনো উল্কাপিণ্ড দেখা যাবে না। সে রাতে চাঁদের মতোই সূর্য উঠবে (তীব্র) আলোকরশ্মি ছাড়া। শয়তান সেই সময় বের হয় না।’ (মুসনাদ আহমাদ : ২২৭৬৫)
চতুর্থ আলামত : এক হাদিসে নবীজি (সা) বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদর উজ্জ্বল একটি রাত। না গরম, না ঠান্ডা। সে রাতে কোনো উল্কাপিণ্ড দেখা যাবে না।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ : ৩/১৭৯)
পঞ্চম আলামত : নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদর রয়েছে সপ্তম অথবা নবম অথবা বিংশ, যে রাতে (পৃথিবীর) নুড়ি পাথরের চেয়ে বেশিসংখ্যক ফেরেশতা জমিনে নেমে আসেন।’ (মাজমাউল জাওয়ায়িদ : ৩/১৭৮)