শনিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর
- আপডেট সময় : ১০:২০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে এ রজনী পালন করবেন।
মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।
পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।
মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর: গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৩)
তবে, লাইলাতুল কদর কবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন হাদিসে এ রাতটি চেনার কিছু আলামতের কথা পাওয়া যায়।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছে। অতঃপর আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে তা তালাশ করো।’
লাইলাতুল কদর বা শবে বরাতের রাত যদি নির্দিষ্ট থাকতো, তাহলে সবাই এ রাতের অপেক্ষায় থাকত, যা শরিয়তসম্মত নয়। তবে অধিকাংশ আলেমদের মতে ২৬ রমজানের দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ রমজানের রাতই লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
নিশ্চিতভাবে শবে কদরের রাত লাভ করা সৌভাগ্যের বিষয়। কারণ একমাত্র আল্লাহতায়ালাই জানেন, সেই কাঙ্ক্ষিত রাত কবে আসবে।
রাসুল (সা.) রমজানের প্রথম ১০ দিন এবং মাঝের ১০ দিন ইতিকাফ করে বললেন, জিব্রাইল (আ.) এসে বলে গেলেন, লাইলাতুল কদর শেষের ১০ দিনে। আমার সঙ্গে যে ইতিকাফ করতে চায়, সে যেন শেষের ১০ দিনে ইতিকাফ করে।
এ হাদিস দ্বারা আমরা নিশ্চিত বুঝতে পারি–রমজানের শেষ ১০ দিনের মধ্যে শবে কদর।