গাজায় যুদ্ধাপরাধ: ইসরায়েলের জবাবদিহি চেয়েছে জাতিসংঘ
- আপডেট সময় : ০৩:২০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে
গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার বাংলাদেশসহ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ২৮ সদস্য। হামাসের প্রসঙ্গ না থাকায় প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকা। গাজায় দ্রুত ও নিরাপদ ত্রাণ কার্যক্রম চালু করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিংসঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
হামাস নির্মূলের নামে গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত বিমান ও বোমা হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে উপত্যকা। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। এসময় গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের জবাবদিহি চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
সেইসাথে ইসরায়েলকে সরবরাহ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যবহার সম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। গাজায় নির্বিচারে হামলা বন্ধ, ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দ্রুত জিম্মি মুক্তির আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন চলছে। দুই পক্ষই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন করছে। গাজায় ছয় মাস ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা।
শুক্রবার প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশসহ ২৮ সদস্য। তবে, হামাসের প্রসঙ্গ না থাকায় প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় আমেরিকা। আর ভোটদানে বিরত ছিল ১৩ দেশ। প্রস্তাব পাস হলেও এই সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে তেল আবিব।
গাজায় আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায়, গত ফেব্রুয়ারিতে তেল আবিবে অস্ত্র রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এরপরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে বেশ কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র। যার মধ্যে আমেরিকা অন্যতম।