ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

থার্ড টার্মিনাল বুঝে নেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪০২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাজ বাকি থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বুঝে নেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) শতভাগ কাজ শেষে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই টার্মিনাল বুঝে নেওয়ার কথা ছিলো।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান জানান, ৫ শতাংশ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ৫ থেকে ৬ মাস থার্ড টার্মিনালের হস্তান্তর প্রক্রিয়া পেছাবে। এতে কোনো ব্যয় বাড়বে না বলেও জানান তিনি।

ঈদের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া প্রকল্পের ৫ শতাংশ কাজের মধ্যে বিভিন্ন ইন্সটলেশন, ক্যালিব্রেশন ও মেশিন প্রি-টেস্টিংয়ের কাজ বাকি আছে বলে জানান তিনি।

২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। আর বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।

পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৃতীয় টার্মিনালে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন ও তিনটি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে। এ ভবনটির নকশা করেছেন রোহানি বাহারিন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টার্মিনালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

থার্ড টার্মিনাল বুঝে নেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

কাজ বাকি থাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বুঝে নেয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশন। আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) শতভাগ কাজ শেষে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই টার্মিনাল বুঝে নেওয়ার কথা ছিলো।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান জানান, ৫ শতাংশ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ৫ থেকে ৬ মাস থার্ড টার্মিনালের হস্তান্তর প্রক্রিয়া পেছাবে। এতে কোনো ব্যয় বাড়বে না বলেও জানান তিনি।

ঈদের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া প্রকল্পের ৫ শতাংশ কাজের মধ্যে বিভিন্ন ইন্সটলেশন, ক্যালিব্রেশন ও মেশিন প্রি-টেস্টিংয়ের কাজ বাকি আছে বলে জানান তিনি।

২০১৭ সালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। আর বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।

পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৃতীয় টার্মিনালে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের একটি ফ্লোর স্পেস, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৬টি ডিপার্চার ইমিগ্রেশন ডেস্ক, ৫৯টি আগমন ইমিগ্রেশন ও তিনটি ভিআইপি ইমিগ্রেশন ডেস্ক রয়েছে। এ ভবনটির নকশা করেছেন রোহানি বাহারিন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টার্মিনালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার পর ঢাকা বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।