‘পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের থেকে অস্ত্র এসেছে কেএনএফের হাতে’
- আপডেট সময় : ০৩:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪০১ বার পড়া হয়েছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র এসেছে কেএনএফের হাতে। পাহাড়ে কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশি সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আশপাশের দেশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।’
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনার পাশাপাশি নানামুখী চাপ তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শিগগিরই জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুতদার চেষ্টা করেছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য। সেটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদ সামনে রেখেও সব সময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোরহস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, রমজানের সময় বাজার যে মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে এবং কিছু কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোনো কোনো পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।’