ঈদের আগমুহূর্তে বেড়েছে মসলার ঝাঁজ। সব ধরনের আমদানি মসলার দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বাড়লেও সুগন্ধি এলাচের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া দুই দিনের ব্যবধানে সবধরনের মুরগির দাম ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ঈদের সকালটা শুরু হয় সেমাইয়ের মিষ্টি স্বাদে। তাই ঈদের আগের শেষ শুক্রবার, বাজারের ফর্দে এ মিষ্টান্ন রাখছেন ক্রেতাদের অনেকে। সামর্থ্য অনুযায়ী প্যাকেটজাত কিংবা খোলা সেমাই কিনছেন ক্রেতারা।
মান ভেদে খোলা সেমাইয়ের দাম ১০০ থেকে ২৫০ টাকা। সেমাই তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায়, প্রভাব পড়েছে সেমাইয়ের বাজারে।
এক বিক্রেতা বলেন, তেলের দামের কারণে প্রতিটা সেমাইয়ের দাম ১০-১৫ টাকা করে বাড়ছে। গত রোজার তুলনায় এবার বেচাকেনা বেশি আবার দামও বেশি।
সেমাইয়ের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার হয় দারচিনি, লং, এলাচসহ নানা মসলা। কয়েক মাসের ব্যবধানে সব মসলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ১৪শ' টাকার এলাচের দাম এখন ৩ হাজার টাকা।
মসলার দামের প্রভাব পড়েছে ক্রেতার পকেটে। তাই কিছুটা কাটছাঁট করতে, কয়েক পদের একত্র মসলা কিনছেন ক্রেতারা।
এক ক্রেতা বলেন, ৫০ টাকার মসলা নিতে আসছিলাম। কিন্তু তারা দিতে পারছে না। কমপক্ষে ১০০ টাকার মসলা নিতে হবে। বাজেটের থেকেও দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে পাউডার দুধ বাদামসহ ঈদের অন্যান্য পণ্যের দামও কিছুটা বাড়তি। আর বাজারে পোলাও ছাড়া সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। তবে কমেছে চিনির দাম। কেজিতে চিনির দাম কমেছে ১০ টাকা।
এছাড়া ঈদ ঘিরে এবার আগেই বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। দুই তিনদিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
তবে সবজির বাজারে গিয়ে অনেকটাই স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। বেশির ভাগ সবজি এখন পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।