প্রথম ধাপের নির্বাচন নিয়ে সরগরম বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ। সব উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও মাঠে নেই বিএনপি। নির্বাচনে যেতে আগ্রহী হলেও কেন্দ্রের নির্দেশনাই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ ৮ মে। রোজার মধ্যেও সভা-সমাবেশ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে অলি-গলি।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীক না থাকায় এখন থেকেই প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের কাছে। তবে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ কারণে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় সম্ভাব্য প্রার্থী অন্তত ৫০ জন। নরসিংদী সদর ও পলাশ উপজেলাতেও ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঈদের দিন থেকে নির্বাচনী মাঠ আরও সরগরম হবে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। প্রার্থীরা বলছেন, রোজার পর প্রচার আরও জোরদার করা হবে।
নির্বাচনী হাওয়া বইছে গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, পঞ্চগড়ে। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নাটোরের ভোটাররা বলছেন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান তারা।
সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিব জানান, নিয়ম মেনে গণসংযোগ করবে প্রার্থীরা। আর সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কমিশন।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ এপ্রিল, আর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।