ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় হামলার ছয় মাস: নিহত ৩৩ হাজারের বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের ছয় মাসপূর্ণ হলো আজ। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জের ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে হামলা ও অভিযান শুরু করে দখলদার দেশ ইসরায়েল। এরপর থেকে প্রতিটি দিন গাজাতে নির্বিচারে গণহত্যা ও নৃশংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধ শুরু ছয় মাস পার হলেও একটুও কমেনি ইসরায়েলি নৃশংসতা।

একের পর এক হামলায় গাজাবাসীকে যেনো নিশ্চিহ্ন করতে চাইছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বলা চলে গত ছয়মাস ধরে দুর্দশার চরম রূপটা দেখেছেন উপত্যকাটির বাসিন্দারা। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে উপত্যকাটিতে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজা ভূখন্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ হাজার ১৩৭ জনে। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৬ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরপরাধ শিশু ও নারী। এছাড়া অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গণহত্যা ছাড়াও গত ছয় মাসে গাজায় অবর্ণনীয় তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজার অন্তত ৬০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৩৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলে হামলা থেকে রেহাই পায়নি সেখানকার ১৮৪টি মসজিদও। এছাড়া গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বন্ধ হয়ে পড়েছে ২৪টির বেশি। ১২৩টি অ্যাম্বুলেন্স আর ব্যবহারযোগ্য নেই।

প্রকৃতপক্ষে গাজাতে এখন নিরাপদ আশ্রয় বলে কোন জায়গা নেই। যদিও রাফাহতে আক্রমণের পরিকল্পনার পর বর্তমানে ঘরে–বাইরে চাপের মুখে পড়ছে ইসরায়েল সরকার। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলোও এখন গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার সমালোচনায় মুখর। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাইছেন অনেকেই। বিশ্বজুড়ে চলছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ।

নৃশংসতার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে রোববার (৭ই এপ্রিল) মিশরের রাজধানী কায়রোতে আবারও আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। তবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা অন্য কোনো শর্ত মানবে না বলে জানিয়েছে হামাস।

গাজায় প্রায় ছয় মাসের আগ্রাসনে বিশ্বে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ইসরায়েল। সংঘাত বন্ধে নিজের সমর্থকদের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোও অনতিবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধে চাপ দিয়ে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত চাপ উপেক্ষা করে নিজের লক্ষ্যে অটল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হামাস হুমকি এবং দীর্ঘ শান্তি স্থাপনের আগে হামাসকে ধ্বংস করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় হামলার ছয় মাস: নিহত ৩৩ হাজারের বেশি

আপডেট সময় : ০১:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের ছয় মাসপূর্ণ হলো আজ। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জের ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে হামলা ও অভিযান শুরু করে দখলদার দেশ ইসরায়েল। এরপর থেকে প্রতিটি দিন গাজাতে নির্বিচারে গণহত্যা ও নৃশংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধ শুরু ছয় মাস পার হলেও একটুও কমেনি ইসরায়েলি নৃশংসতা।

একের পর এক হামলায় গাজাবাসীকে যেনো নিশ্চিহ্ন করতে চাইছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বলা চলে গত ছয়মাস ধরে দুর্দশার চরম রূপটা দেখেছেন উপত্যকাটির বাসিন্দারা। ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিনই শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে উপত্যকাটিতে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজা ভূখন্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ হাজার ১৩৭ জনে। এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৬ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নিরপরাধ শিশু ও নারী। এছাড়া অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

গণহত্যা ছাড়াও গত ছয় মাসে গাজায় অবর্ণনীয় তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজার অন্তত ৬০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৩৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলে হামলা থেকে রেহাই পায়নি সেখানকার ১৮৪টি মসজিদও। এছাড়া গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বন্ধ হয়ে পড়েছে ২৪টির বেশি। ১২৩টি অ্যাম্বুলেন্স আর ব্যবহারযোগ্য নেই।

প্রকৃতপক্ষে গাজাতে এখন নিরাপদ আশ্রয় বলে কোন জায়গা নেই। যদিও রাফাহতে আক্রমণের পরিকল্পনার পর বর্তমানে ঘরে–বাইরে চাপের মুখে পড়ছে ইসরায়েল সরকার। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলোও এখন গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার সমালোচনায় মুখর। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাইছেন অনেকেই। বিশ্বজুড়ে চলছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ।

নৃশংসতার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে রোববার (৭ই এপ্রিল) মিশরের রাজধানী কায়রোতে আবারও আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। তবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা অন্য কোনো শর্ত মানবে না বলে জানিয়েছে হামাস।

গাজায় প্রায় ছয় মাসের আগ্রাসনে বিশ্বে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ইসরায়েল। সংঘাত বন্ধে নিজের সমর্থকদের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোও অনতিবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধে চাপ দিয়ে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত চাপ উপেক্ষা করে নিজের লক্ষ্যে অটল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হামাস হুমকি এবং দীর্ঘ শান্তি স্থাপনের আগে হামাসকে ধ্বংস করতে হবে।