১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে সেনা হামলায় নিহত বেসামরিক ১৭৯ জন

গত ৫ মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর হামলায় ৬৪ নারীসহ ১৭৯ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছে ১৯৮ নারীসহ ৪৬৮ জন।

বিদ্রোহীদের অন্তর্গত মানবিক ও উন্নয়ন সমন্বয় অফিস- এইচডিসিও দাবি করেছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হামলায় মোট ৬৪৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। জান্তা সৈন্যদের আর্টিলারি শেলিং এবং বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

এইচডিসিও আরও জানিয়েছে, ৪৭ জন মহিলাসহ ৪৭১ জন রাখাইনকে জান্তা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক করেছে। রাখাইনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬২,৩৩২ জন। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালে সংঘাতের সময় এবং এরপর মোট বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির সংখ্যা ছিলো ২৯৫,৮৬৮। কিন্তু বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৮,২০০ জনে।

রাখাইনের ১৭টি জনপদের মধ্যে ১৫টির স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারেনি। তারা এখনও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। এক নারী জানিয়েছে, ‘আমরা খাদ্যসামগ্রীর ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছি। সামরিক শাসকদের কাছ থেকে কোনও সহায়তা না পাওয়ায় আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া, জান্তার বিমান হামলার ভয়ে আমাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।’

রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের নিজদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুবিধার্থে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, জীবিকা সহায়তার জরুরি প্রয়োজন বলে জোর দিয়েছে এইচডিসিও।

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। রাখাইন রাজ্যের একশো রোহিঙ্গাকে সম্প্রতি যুদ্ধরত সেনাদের পক্ষে লড়াই করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতিসংঘ রোহঙ্গিাদের ওপর সেনাবাহিনীর এই বর্বরতাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে অভিহিত করেছে।

মিয়ানমারে সেনা হামলায় নিহত বেসামরিক ১৭৯ জন

আপডেট : ০১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

গত ৫ মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর হামলায় ৬৪ নারীসহ ১৭৯ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছে ১৯৮ নারীসহ ৪৬৮ জন।

বিদ্রোহীদের অন্তর্গত মানবিক ও উন্নয়ন সমন্বয় অফিস- এইচডিসিও দাবি করেছে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হামলায় মোট ৬৪৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। জান্তা সৈন্যদের আর্টিলারি শেলিং এবং বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

এইচডিসিও আরও জানিয়েছে, ৪৭ জন মহিলাসহ ৪৭১ জন রাখাইনকে জান্তা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আটক করেছে। রাখাইনে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬২,৩৩২ জন। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালে সংঘাতের সময় এবং এরপর মোট বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির সংখ্যা ছিলো ২৯৫,৮৬৮। কিন্তু বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৮,২০০ জনে।

রাখাইনের ১৭টি জনপদের মধ্যে ১৫টির স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারেনি। তারা এখনও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। এক নারী জানিয়েছে, ‘আমরা খাদ্যসামগ্রীর ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছি। সামরিক শাসকদের কাছ থেকে কোনও সহায়তা না পাওয়ায় আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া, জান্তার বিমান হামলার ভয়ে আমাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।’

রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের নিজদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুবিধার্থে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ, জীবিকা সহায়তার জরুরি প্রয়োজন বলে জোর দিয়েছে এইচডিসিও।

এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। রাখাইন রাজ্যের একশো রোহিঙ্গাকে সম্প্রতি যুদ্ধরত সেনাদের পক্ষে লড়াই করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতিসংঘ রোহঙ্গিাদের ওপর সেনাবাহিনীর এই বর্বরতাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে অভিহিত করেছে।