০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, জরুরি অবস্থা জারি

এই মুহুর্তে বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে রাশিয়ায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। সেই সাথে আছে অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ওদিকে বেড়েই চলেছে উরাল নদীর পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ওরস্ক শহরের তেল শোধনাগারের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাজাখস্তান সীমান্তের কাছে ওরেনবার্গ অঞ্চলের একটি রুশ বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

সাধারণ মৌসুমি বন্যার তুুলনায় এ বছরের বন্যা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে মুলত: অতিরিক্ত বরফ গলার কারণে। উরাল পর্বতে সৃষ্টি উরাল নদীর। যা বয়ে যায় কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত। উরাল পর্বতে এ বছর বেশি বরফ গলার কারণে গত শুক্রবার মাত্র কয়েক ঘন্টাতেই নদীটির পানি ফুলে ফেঁপে উঠে এবং ওরস্ক নগরীর বাঁধ ভেঙে যায়।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, কিছু জায়গায় পানির মাত্রা গত ১০০ বছরের যে কোনও সময়ের তুলনায় এখন অনেক দ্রুতগতিতে বেড়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে রাজধানী মস্কো থেকে ১৮০০ কিলোমিটার ওরস্ক নগরীর একটি তেল শোধনাগার বন্যার কারণে অচল হয়ে পড়েছে।

ক্রেমলিন রোববার বলেছে, উরালের কুরগান এবং সাইবেরিয়ার তাইয়ুমেন অঞ্চলেও বন্যা এখন অবশ্যম্ভাবী। ওই দুই এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুতই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা মঙ্গলবার বন্যা চরম সীমায় পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। পরিস্থিতি ২০শে এপ্রিলের পর নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।

বন্যার কারণে কাজাখস্তানেরও ১০ টি উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। দেশটির জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, ১২ হাজার মানুষকে অস্থায়ী শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইউরাল ও পশ্চিম সাইবেরিয়ার বেশকিছু অঞ্চল বসন্তের শুরুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই না, কাজাখস্তানের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বলেন, বন্যাটি ৮০ বছরের ইতিহাসে কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

রাশিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, জরুরি অবস্থা জারি

আপডেট : ০২:১৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

এই মুহুর্তে বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে রাশিয়ায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি। সেই সাথে আছে অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ওদিকে বেড়েই চলেছে উরাল নদীর পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ওরস্ক শহরের তেল শোধনাগারের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাজাখস্তান সীমান্তের কাছে ওরেনবার্গ অঞ্চলের একটি রুশ বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

সাধারণ মৌসুমি বন্যার তুুলনায় এ বছরের বন্যা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে মুলত: অতিরিক্ত বরফ গলার কারণে। উরাল পর্বতে সৃষ্টি উরাল নদীর। যা বয়ে যায় কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত। উরাল পর্বতে এ বছর বেশি বরফ গলার কারণে গত শুক্রবার মাত্র কয়েক ঘন্টাতেই নদীটির পানি ফুলে ফেঁপে উঠে এবং ওরস্ক নগরীর বাঁধ ভেঙে যায়।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, কিছু জায়গায় পানির মাত্রা গত ১০০ বছরের যে কোনও সময়ের তুলনায় এখন অনেক দ্রুতগতিতে বেড়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে রাজধানী মস্কো থেকে ১৮০০ কিলোমিটার ওরস্ক নগরীর একটি তেল শোধনাগার বন্যার কারণে অচল হয়ে পড়েছে।

ক্রেমলিন রোববার বলেছে, উরালের কুরগান এবং সাইবেরিয়ার তাইয়ুমেন অঞ্চলেও বন্যা এখন অবশ্যম্ভাবী। ওই দুই এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুতই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা মঙ্গলবার বন্যা চরম সীমায় পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। পরিস্থিতি ২০শে এপ্রিলের পর নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।

বন্যার কারণে কাজাখস্তানেরও ১০ টি উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। দেশটির জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, ১২ হাজার মানুষকে অস্থায়ী শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইউরাল ও পশ্চিম সাইবেরিয়ার বেশকিছু অঞ্চল বসন্তের শুরুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তাই না, কাজাখস্তানের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বলেন, বন্যাটি ৮০ বছরের ইতিহাসে কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।