ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মার্চ মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০.১৪ শতাংশ। এর ফলে মাসটিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবিএস জানায়, বছরের শুরুতে দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমলেও মার্চে আবার বেড়েছে। এ মাসে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যেটি ছিল ৯.৪৪ শতাংশ। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৩৩ শতাংশ, যা মার্চে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া মার্চে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৮৬ শতাংশ ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৪১ শতাংশ।

আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৯৮ শতাংশ ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৭১ শতাংশ।

গত জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছিল। ফলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আগামীতে ধারাবাহিকভাবে তা হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যাচ্ছে না। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান রয়েছে। গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল।

ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএমএম)নির্বাহী পরিচালক বলেন, রমজান এলেই দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। আবার ঈদের কারণে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দর বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার। এছাড়া মার্কিন ডলারের সংকট কাটেনি। ফলে মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

মার্চ মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০.১৪ শতাংশ। এর ফলে মাসটিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত মাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবিএস জানায়, বছরের শুরুতে দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমলেও মার্চে আবার বেড়েছে। এ মাসে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যেটি ছিল ৯.৪৪ শতাংশ। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৩৩ শতাংশ, যা মার্চে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া মার্চে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৮৬ শতাংশ ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৪১ শতাংশ।

আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৯৮ শতাংশ ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৭১ শতাংশ।

গত জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছিল। ফলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, আগামীতে ধারাবাহিকভাবে তা হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যাচ্ছে না। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান রয়েছে। গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল।

ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএমএম)নির্বাহী পরিচালক বলেন, রমজান এলেই দেশে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। আবার ঈদের কারণে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দর বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার। এছাড়া মার্কিন ডলারের সংকট কাটেনি। ফলে মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।