সার্জ ন্যাব্রি ছিলেন আর্সেনালের একাডেমি তারকা। জাতে জার্মান হলেও শৈশবে বেছে নিয়েছিলেন লন্ডনের ক্লাবটিকেই। নিজের ক্যারিয়ারের শুরুটাও এখানে। কিন্তু আর্সেনালে নিজেকে বেশিদিন ধরে রাখেননি। চলে গিয়েছেন জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ন্যাব্রি ফিরলেন এই আর্সেনালেই।
বায়ার্নের আরেক তারকা হ্যারি কেন নিজের পুরো সময় কাটিয়েছেন আর্সেনালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব টটেনহ্যামে। বহুবারই আর্সেনাল সমর্থকদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। দল পাল্টে বায়ার্নে এলেও পুরাতন সেই অভ্যাস ছাড়লেন না। আজও গোল করে গানার্সদের বিপদ বাড়িয়ে দিলেন।
কিন্তু মিকেল আর্তেতা-মার্টিন ওডেগার্ডের আর্সেনাল যেন হাল ছাড়তে জানেন না। বদলি নামা লিয়ান্দ্রো টোসার্ড শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে মান রেখেছেন গানার্সদের। এমিরেটস স্টেডিয়ামে বায়ার্ন-আর্সেনাল ম্যাচ শেষ হলো ২-২ গোলে।
ম্যাচের প্রথম গোল পেয়েছিল গানার্সরাই। দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে আর্সেনালকে লিড এনে দেন উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই খেলোয়ারের শট ঠেকানোর সাধ্য ছিল না বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের। ১২ মিনিটে লিড পায় গানার্সরা।
তবে লিড খুব বেশিক্ষণ টেকেনি। গ্যাব্রিয়েল এবং ডেভিড রায়ার হাস্যকর ভুলের সুযোগ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় বায়ার্ন। সেখানেই গোল করে বসেন সার্জ ন্যাব্রি। ১৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেলে বাভারিয়ানরা। এর খানিক বাদেই ভুল করেন উইলিয়াম সালিবা। লেরয় সানেকে ফাউল করে বসেন ডিবক্সে। পেনাল্টিতে দলের দ্বিতীয় গোল করেন হ্যারি কেন। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে টানেলে ফেরে আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধে টোসার্ডকে নামান আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। এই টোটকায় যেন ভাগ্য ফেরে আর্সেনালের। দারুণ এক টিম প্লে থেকে গোল পেয়ে দলকে সমতায় আনেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। শেষদিকে কিংসলে কোমানের শট বারে লেগে ফিরলে লিড থেকে বঞ্চিত হয় জার্মান ক্লাবটি।
মাঝে আর্সেনাল একাধিকবার সুযোগ পেলেও নিজেদের ব্যর্থতায় তা আর গোলে পরিণত করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এসে তাই ড্র দিয়েই শেষ হলো আর্সেনালের প্রথম ম্যাচ।