০১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে শর্তে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। শর্ত হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গাজা ভূখণ্ডের শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাসের কোনো ভূমিকা থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দ্রুততার সঙ্গে শান্তি ফেরাতে এমন পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে ক্যানবেরা। খবর বিবিসি।

ক্যানবেরা সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবেই আসতে পারে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এবং ইহুদিবাদীদের সংগঠন জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়া এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে নেয়া অস্ট্রেলিয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ব পদক্ষেপ।

বিরোধীদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন, তারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না এবং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের সরকার কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘দ্বিপক্ষীয় অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রনীতি’ ভঙ্গ করার হুমকি দিচ্ছে।

তবে ওংয়ের মন্তব্যে চলতি বছরের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে। সেসময় ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সমর্থন ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্যও।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান সম্পর্কে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন অস্ট্রেলীয় ত্রাণকর্মী এবং আরও ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দেশটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতের ভাষণে পেনি ওং জানিয়েছেন, ‘সহিংসতার অন্তহীন চক্র’ ভাঙতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান, যেখানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশে পাশাপাশি বসবাস করবেন।

তিনি বলেছেন, এই পথ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ব্যর্থতা এবং তার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানো ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে।

এক বিবৃতিতে সাইমন বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আলবানিজ সরকারের যুক্তিতে নিরাপত্তার আগে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে সন্ত্রাসীরা বর্তমানে এই ভয়াবহ সংঘাতের সূচনা করেছে, এতে তাদেরই জয় হবে।

জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জেরেমি লেবলার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য এখনো সঠিক সময় আসেনি।

যে শর্তে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ০৪:৫৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। শর্ত হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গাজা ভূখণ্ডের শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাসের কোনো ভূমিকা থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দ্রুততার সঙ্গে শান্তি ফেরাতে এমন পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছে ক্যানবেরা। খবর বিবিসি।

ক্যানবেরা সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবেই আসতে পারে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল এবং ইহুদিবাদীদের সংগঠন জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়া এর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে। তাদের মতে, ফিলিস্তিনের বিষয়ে নেয়া অস্ট্রেলিয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ব পদক্ষেপ।

বিরোধীদের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম বলেছেন, তারা এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না এবং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজের সরকার কয়েক দশক ধরে চলে আসা ‘দ্বিপক্ষীয় অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রনীতি’ ভঙ্গ করার হুমকি দিচ্ছে।

তবে ওংয়ের মন্তব্যে চলতি বছরের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের একটি বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা গেছে। সেসময় ক্যামেরন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সমর্থন ছাড়াই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে যুক্তরাজ্যও।

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযান সম্পর্কে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন অস্ট্রেলীয় ত্রাণকর্মী এবং আরও ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দেশটি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতের ভাষণে পেনি ওং জানিয়েছেন, ‘সহিংসতার অন্তহীন চক্র’ ভাঙতে একমাত্র আশার আলো হতে পারে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান, যেখানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা পৃথক দেশে পাশাপাশি বসবাস করবেন।

তিনি বলেছেন, এই পথ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ব্যর্থতা এবং তার পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনায় অস্বীকৃতি জানানো ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের গতি বাড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে।

এক বিবৃতিতে সাইমন বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আগাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আলবানিজ সরকারের যুক্তিতে নিরাপত্তার আগে রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে সন্ত্রাসীরা বর্তমানে এই ভয়াবহ সংঘাতের সূচনা করেছে, এতে তাদেরই জয় হবে।

জায়নিস্ট ফেডারেশন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জেরেমি লেবলার বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য এখনো সঠিক সময় আসেনি।