ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত স্পেন : সানচেজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ইউরোপের দেশ স্পেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ একথা জানিয়েছেন। আর এই স্বীকৃতি মিলবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই।

এছাড়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্য দেশগুলোকে রাজি করানোর জন্য ইউরোপ সফরও শুরু করতে চলেছেন তিনি। বুধবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত’ বলে বুধবার জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। অন্যদিকে তার সরকার বলেছে, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতি আগামী জুলাই মাসের আগেই দেওয়া হবে।

এছাড়া অন্য দেশগুলোকেও একই কাজ করতে রাজি করানোর চেষ্টা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইউরোপ সফর শুরু করতে চলেছেন।

সংসদীয় বিতর্কের সময় সানচেজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি না দিলে তাকে (ফিলিস্তিনকে) সাহায্য করতে পারে না।’

স্পেনের এই সোশ্যালিস্ট প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ‘ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থেই’।

এদিকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রস্তাব সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল সম্ভবত এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করবে না।

যদিও পপুলার পার্টির নেতা আলবার্তো নুনেজ ফেইজু বুধবার বলেছেন, তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেন। তবে সানচেজ যে পদ্ধতিতে এগিয়ে চলেছেন সেটির সঙ্গে একমত নন তিনি।

অবশ্য স্পেনের আগে সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া।

আনাদোলু বলছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সানচেজ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া এবং বেলজিয়ামের নেতাদের সাথে তার পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করতে এবং আরও দেশকে তার সাথে যোগ দিতে রাজি করানোর চেষ্টায় যোগাযোগ শুরু করবেন।

এর আগে গত সপ্তাহে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে টেকসই শান্তি অর্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে জর্ডান, সৌদি আরব এবং কাতারের নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত স্পেন : সানচেজ

আপডেট সময় : ০২:২৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ইউরোপের দেশ স্পেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ একথা জানিয়েছেন। আর এই স্বীকৃতি মিলবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই।

এছাড়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্য দেশগুলোকে রাজি করানোর জন্য ইউরোপ সফরও শুরু করতে চলেছেন তিনি। বুধবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেন ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত’ বলে বুধবার জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। অন্যদিকে তার সরকার বলেছে, ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক এই স্বীকৃতি আগামী জুলাই মাসের আগেই দেওয়া হবে।

এছাড়া অন্য দেশগুলোকেও একই কাজ করতে রাজি করানোর চেষ্টা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইউরোপ সফর শুরু করতে চলেছেন।

সংসদীয় বিতর্কের সময় সানচেজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি না দিলে তাকে (ফিলিস্তিনকে) সাহায্য করতে পারে না।’

স্পেনের এই সোশ্যালিস্ট প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ‘ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থেই’।

এদিকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের প্রস্তাব সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল সম্ভবত এই প্রস্তাবটিকে সমর্থন করবে না।

যদিও পপুলার পার্টির নেতা আলবার্তো নুনেজ ফেইজু বুধবার বলেছেন, তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করেন। তবে সানচেজ যে পদ্ধতিতে এগিয়ে চলেছেন সেটির সঙ্গে একমত নন তিনি।

অবশ্য স্পেনের আগে সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া।

আনাদোলু বলছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সানচেজ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া এবং বেলজিয়ামের নেতাদের সাথে তার পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করতে এবং আরও দেশকে তার সাথে যোগ দিতে রাজি করানোর চেষ্টায় যোগাযোগ শুরু করবেন।

এর আগে গত সপ্তাহে তিনি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে টেকসই শান্তি অর্জনের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে জর্ডান, সৌদি আরব এবং কাতারের নেতাদের সাথে বৈঠকের জন্য মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছিলেন।