Dhaka ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমেনি মুরগির দাম, বেড়েছে সবজির

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৪ দেখেছেন

ঈদের আগে হঠাৎ রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়ে গিয়েছিল মুরগির দাম, যা ঈদের পরও কমেনি। বরং সবজির দাম ঈদের আগের তুলনায় বেড়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের পর এখনও বিক্রেতারা আসেননি। এমনকি কারওয়ান বাজারের অন্যতম বড় মার্কেট কিচেন মার্কেট বন্ধ। তবে কিছু কিছু মুরগি ও সবজির দোকান খোলা রয়েছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম থাকায় বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।

সেসব মুরগির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া দামেই এখনও মুরগি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৪০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও এ একই দামে মুরগি বিক্রি হয়েছিল।

বিক্রেতারা জানান, মুরগির দাম এখন আর কমার সম্ভাবনা নেই। বরং বাড়তে পারে।

কারণ হিসেবে আমিরুর ইসলাম নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে মুরগির সংকট রয়েছে। খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার দাম বেশি। তারপরও মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এক মাস আগে দুই হাজার মুরগি অর্ডার করে দুই ধাপে মাত্র এক হাজার ৩০০ মুরগি পেয়েছি। খামারিদের কাছে মুরগি নেই। ঈদে সব বন্ধ তাই এমন বাড়তি দাম। সব যখন খুলবে তখন আরও দাম বাড়বে।

মিরপুর ৬ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ী মৃণাল বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছে। অন্যান্য দিন শুক্রবার বেচাকেনা অনেক বেশি হলেও আজকে বাজারে ক্রেতা নেই। যে কয়েকটি দোকান খোলা আছে, সেগুলোতেও তেমন পণ্য নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন।

অন্যদিকে, চাঁদ রাতে ২৫০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও ১ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আজকে মুরগি আসেনি। অল্প কয়েকটা মুরগি আছে। আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, লাল লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা। প্রতিকেজি লাল লেয়ার ৩৮০ টাকা, আর সোনালী ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে জাটকা ও ৭০০ এবং ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মিরপুরর ১১ ও ৬ নম্বরে কয়েকটি মাছের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছ বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা ছিল কম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা, পাবনার দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫৬ টাকা, রসুন ২০০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে সবজির। বিক্রেতারা জানান, কিছু কিছু সবজিতে ৫-১০ টাকা ও কিছৃ কিছু সবজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ১৪০-১৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০-৫০ টাকা, পটল ৬০-৬৫ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, উস্তা ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা আম ১৪০-১৫০ টাকা, ঝিঙ্গে ৯০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, পালং শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা ও লাল শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ী মনসুর বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সবজির দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তারপরও আজকে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিন এভাবেই চলবে। এছাড়া, ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে সবজির সরবরাহ খুবই কম। দুই এক দিন পর থেকে সবজির চাহিদা বাড়বে।

কমেনি মুরগির দাম, বেড়েছে সবজির

আপডেট : ০১:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের আগে হঠাৎ রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়ে গিয়েছিল মুরগির দাম, যা ঈদের পরও কমেনি। বরং সবজির দাম ঈদের আগের তুলনায় বেড়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের পর এখনও বিক্রেতারা আসেননি। এমনকি কারওয়ান বাজারের অন্যতম বড় মার্কেট কিচেন মার্কেট বন্ধ। তবে কিছু কিছু মুরগি ও সবজির দোকান খোলা রয়েছে। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম থাকায় বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।

সেসব মুরগির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া দামেই এখনও মুরগি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৪০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও এ একই দামে মুরগি বিক্রি হয়েছিল।

বিক্রেতারা জানান, মুরগির দাম এখন আর কমার সম্ভাবনা নেই। বরং বাড়তে পারে।

কারণ হিসেবে আমিরুর ইসলাম নামে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে মুরগির সংকট রয়েছে। খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার দাম বেশি। তারপরও মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এক মাস আগে দুই হাজার মুরগি অর্ডার করে দুই ধাপে মাত্র এক হাজার ৩০০ মুরগি পেয়েছি। খামারিদের কাছে মুরগি নেই। ঈদে সব বন্ধ তাই এমন বাড়তি দাম। সব যখন খুলবে তখন আরও দাম বাড়বে।

মিরপুর ৬ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ী মৃণাল বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছে। অন্যান্য দিন শুক্রবার বেচাকেনা অনেক বেশি হলেও আজকে বাজারে ক্রেতা নেই। যে কয়েকটি দোকান খোলা আছে, সেগুলোতেও তেমন পণ্য নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন।

অন্যদিকে, চাঁদ রাতে ২৫০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও ১ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আজকে মুরগি আসেনি। অল্প কয়েকটা মুরগি আছে। আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, লাল লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা। প্রতিকেজি লাল লেয়ার ৩৮০ টাকা, আর সোনালী ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে জাটকা ও ৭০০ এবং ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মিরপুরর ১১ ও ৬ নম্বরে কয়েকটি মাছের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছ বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা ছিল কম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা, পাবনার দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫৬ টাকা, রসুন ২০০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে সবজির। বিক্রেতারা জানান, কিছু কিছু সবজিতে ৫-১০ টাকা ও কিছৃ কিছু সবজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ১৪০-১৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০-৫০ টাকা, পটল ৬০-৬৫ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, উস্তা ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা আম ১৪০-১৫০ টাকা, ঝিঙ্গে ৯০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, পালং শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা ও লাল শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ী মনসুর বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে সবজির দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তারপরও আজকে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিন এভাবেই চলবে। এছাড়া, ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে সবজির সরবরাহ খুবই কম। দুই এক দিন পর থেকে সবজির চাহিদা বাড়বে।