১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে নিযুক্ত কর্মীদের ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় ইসরায়েলে নিজেদের কর্মীদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের কর্মীদের জেরুজালেম, তেল আভিভ এবং বির শেভা এলাকার বাইরে যেতে নিষেধ করেছে। খবর বিবিসির।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু না বললেও ইসরায়েল ও পাশ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকির ফলেই এমনটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

১১ দিন আগে সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে এক ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পর থেকে পাল্টা হামলার কথা বলে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

ইসরায়েল ইরানী দূতাবাসে হামলার দায় অস্বীকার করলেও তারাই এই হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দূতাবাসে হামলায় নিহতদের মধ্যে সিরিয়া ও লেবাননে নিযুক্ত কুদস বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ নেতাও রয়েছেন।

ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা অসংখ্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন করে আসছে ইরান।

বুধবার (১০ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাতে যাচ্ছে এবং ইসরায়েলকে সব ধরণের সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এরিক কুরিলা নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলে গিয়েছেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সাথে ফোনকলের ব্যাপারে লর্ড ক্যামেরন জানান, আমি অনুরোধ করেছি যাতে সংঘাত বিস্তৃত না হয়।

সংঘাত নিরসনে সৌদি আরব, তুরস্ক ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ইরান কিভাবে হামলা চালাবে এবং হামলার ক্ষেত্রে ইরান কি সরাসরি অংশ নেবে নাকি তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ব্যবহার করবে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।

রোববার ইরান সরকারের কর্মকর্তা ইসরায়েলের কোনো দূতাবাসই আর নিরাপদ নয় উল্লেখ করে এই স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়ার সম্ভাবনাকে উসকে দিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউয়াভ গ্যালান্ট ইরান হামলা চালালে ইসরায়েলও হামলা চালাবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন।

ইসরায়েলে নিযুক্ত কর্মীদের ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ০১:০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় ইসরায়েলে নিজেদের কর্মীদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের কর্মীদের জেরুজালেম, তেল আভিভ এবং বির শেভা এলাকার বাইরে যেতে নিষেধ করেছে। খবর বিবিসির।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু না বললেও ইসরায়েল ও পাশ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকির ফলেই এমনটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

১১ দিন আগে সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে এক ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পর থেকে পাল্টা হামলার কথা বলে আসছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

ইসরায়েল ইরানী দূতাবাসে হামলার দায় অস্বীকার করলেও তারাই এই হামলার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দূতাবাসে হামলায় নিহতদের মধ্যে সিরিয়া ও লেবাননে নিযুক্ত কুদস বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ নেতাও রয়েছেন।

ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা অসংখ্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন করে আসছে ইরান।

বুধবার (১০ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাতে যাচ্ছে এবং ইসরায়েলকে সব ধরণের সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এরিক কুরিলা নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করতে ইসরায়েলে গিয়েছেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সাথে ফোনকলের ব্যাপারে লর্ড ক্যামেরন জানান, আমি অনুরোধ করেছি যাতে সংঘাত বিস্তৃত না হয়।

সংঘাত নিরসনে সৌদি আরব, তুরস্ক ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ইরান কিভাবে হামলা চালাবে এবং হামলার ক্ষেত্রে ইরান কি সরাসরি অংশ নেবে নাকি তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ব্যবহার করবে সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।

রোববার ইরান সরকারের কর্মকর্তা ইসরায়েলের কোনো দূতাবাসই আর নিরাপদ নয় উল্লেখ করে এই স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়ার সম্ভাবনাকে উসকে দিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউয়াভ গ্যালান্ট ইরান হামলা চালালে ইসরায়েলও হামলা চালাবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন।