বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন আজ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো আরও একটি নতুন বছর। রমনার বটমূলে নতুন বছরের সূর্যকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে শুরু হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকালে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রমনার বটমূলে আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল) সাজানো হয় ছায়ানটের মূল আয়োজন। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই এ আয়োজন দেখার জন্য রমনায় ভিড় করতে থাকে মানুষ।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তারা দলে দলে যোগ দেন ছায়ানটের আয়োজনে। পুরোনো বছরের সব গ্লানি মুছে সবাই নতুন বছরকে আপন করে নিতে সামিল হন একসঙ্গে।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভোর সোয়া ৬টায় ছায়ানটের আয়োজনে রমনায় শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ছায়ানটের দুই শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।
তাদের এ আয়োজনে ছিল ১৫টি সম্মিলিত গান, ১১টি একক গান ও দু’টি কবিতা আবৃতি। এবং ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সনজিদা খাতুনের একটি কথন ছিল এ অনুষ্ঠানে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি সরাসরি অনুষ্ঠানে এসে যোগ দিতে পারেননি। সেজন্য ভিডিও বার্তায় কথন শুনান সনজিদা খাতুন।
বাঙালির কাছে ছায়ানটের এ আয়োজন এক আবেগের নাম। ১৯৬৭ সালে রমনায় প্রথম ছায়ানটের আয়োজন শুরু হয়। যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে এ আয়োজন।
পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
জানা গেছে, সিসিটিভি দিয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোনের মাধ্যমে আশে-পাশের এলাকায় নজরদারি করা হচ্ছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রয়েছে, তারা মহড়াও করেছে।