সরকার কৃষ্টি-সংস্কৃতি বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে: রিজভী
- আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
সরকার দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলা নববর্ষ বরণের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেস, আমরা কঠিন যুগসন্ধিক্ষণে এসে উপস্থিত হয়েছি। আজকে শুধু রাজনৈতিক আধিপত্য নয়, আমরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মধ্যে পড়েছি। আমাদের দীর্ঘদিনের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, দীর্ঘদিনের আমাদের ভাষা, আমাদের শব্দ এসবকে বদলে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
রিজভী বলেন, আমাদের বাবা-মা, আমাদের পূর্ব পুরুষ দাদা-দাদি, নানা-নানী এবং তাদের আরো আগে থেকে তাদের অভ্যাস, তাদের খাওয়া-দাওয়া, তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ সমস্ত কিছু মিলে এবং এই বাংলার প্রাণের যে শাখাগুলো সেই আসল। স্বাধীন ভূখণ্ডের মধ্যে এখানকার ধলেশ্বরী-শীতালক্ষ্যা-পদ্মা-যমুনা-যুমনা, ইছামতি এখান থেকে উচ্চারিত আমাদের যে সংগীত, আমাদের যে গান, আমাদের যে সংস্কৃতি এটা আমাদের নিজস্ব।
রিজভী বলেন এই নিজস্বতার মধ্য দিয়ে আমাদের সংস্কৃতির যে মোজাইকটি তৈরি হয়েছে সেই মোজাইকটি ওবায়দুল কাদেররা বিভ্রান্ত ছড়িয়ে ভাঙতে পারবে না। এই মোজাইকের ওপরেই আমাদের সার্বভৌমত্ব, আমাদের স্বাধীনতা দাঁড়িয়ে থাকবে। আর এর প্রতীক হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপি নাকি বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। আমি বলতে চাই, আপনি কিসে বিশ্বাস করেন? এই বাঙালি সংস্কৃতি এটার তাৎপর্য কী, এটার সংজ্ঞা কী? আপনি যদি একটু ব্যাখ্যা করে বলতেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ পানিকে পানি বলে। আপনি (ওবায়দুল কাদের) পানি শব্দ বদলে দিতে চাচ্ছেন, জল বলে কিছু মানুষ। জলেরও অস্তিত্ব আছে, পানিরও অস্তিত্ব আছে। পশ্চিম বাংলার বেশির ভাগ মানুষ পানিকে জল বলে। আমাদের দেশের পানিকে পানিই বলে। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি এটা বদলিয়ে দিতে চাচ্ছেন যে বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।
রিজভী বলেন, আমরা পরস্পরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের করি সালাম দিয়ে। এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। আপনি কি এটা বিরুদ্ধাচরণ করছেন? আমরা কারো সাফল্য কামনা করলে ইনশাল্লাহ বলি, এটা আমাদের পার্ট অব কালচার। এগুলো যে ধর্মীয়অনুভূতিতে বলছি তা না, এটা আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথা-অভ্যাসে থাকার কারণে এটা সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জাসাস শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। জাসাসের সহসভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, আহমেদ কিসলুসহ জাসাসের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।