ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সহায়তায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ: পিটার হাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৯০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, স্বাধীনতার পর উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে অর্থনীতি, রাজনীতি এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করতে দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানান পিটার হাস।

আজ (মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘প্রসপারিটি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনের (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২২ বছর ধরে অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম।

সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯তম, যা মধ্যম আয়ের দেশ ও সরকারের রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বড় ধরনের বাঁধা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য বলে জানান বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পথে। বিশ্বের ১৬৪ দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্জন ভালো করেছে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তবে ইকোনমিক, পলিটিক্যাল, রুল অব ল এসবে বাংলাদেশের ফ্রিডম এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্নীতি, রাজনৈতিক অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থায়ও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। যা গুড গভর্নেন্সের পথে বড় বাধা হিসেবে থেকে গেছে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় পাশে থাকবে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করতে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশকে “রূপকল্প-২০৪১” লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করার উপায় খোঁজা অব্যাহত রাখবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সম্প্রসারিত স্বাধীনতার মাধ্যমে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সহায়তায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ: পিটার হাস

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, স্বাধীনতার পর উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে অর্থনীতি, রাজনীতি এবং আইনের শাসনের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করতে দৃঢ়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানান পিটার হাস।

আজ (মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘প্রসপারিটি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনের (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২২ বছর ধরে অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম।

সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯তম, যা মধ্যম আয়ের দেশ ও সরকারের রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে বড় ধরনের বাঁধা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য বলে জানান বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর উন্নয়নে বাংলাদেশ ভালো করেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পথে। বিশ্বের ১৬৪ দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্জন ভালো করেছে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তবে ইকোনমিক, পলিটিক্যাল, রুল অব ল এসবে বাংলাদেশের ফ্রিডম এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। দুর্নীতি, রাজনৈতিক অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, নির্বাচন ব্যবস্থায়ও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। যা গুড গভর্নেন্সের পথে বড় বাধা হিসেবে থেকে গেছে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় পাশে থাকবে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করতে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশকে “রূপকল্প-২০৪১” লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করার উপায় খোঁজা অব্যাহত রাখবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সম্প্রসারিত স্বাধীনতার মাধ্যমে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হতে পারে।’