২০২৪ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩.২ শতাংশ। যা অপরিবর্তিত ২০২৫ সালেও থাকবে। তবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৭ শতাংশ। গ্লোবাল ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, মুদ্রানীতি কঠোর করার কোন বিকল্প নেই।
২০১৮ সালের পর ২০২২ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো নীতি সুদের হার বাড়ায় ফেডারেল রিজার্ভ। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল আভাস দেন, মূল্যস্ফীতি না কমলে চরম মূল্য দিতে হবে। সে পূর্বাভাসে ডলারের দাম বাড়ে আকাশচুম্বী। মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে মুদ্রার চাহিদা ও সরবরাহে রাশ টানলে সারাবিশ্বের সবগুলো দেশে সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণ নেয়া কঠিন আর ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
২০২৪ সালেও মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে মুদ্রানীতি আরো কঠোর করার পক্ষে আইএমএফ। তাতে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি ৪.৫ শতাংশে নামবে বলে আভাস আইএমএফের। সবমিলিয়ে ডলারের একচেটিয়া প্রভাবের কারণে এর প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ২০২৪ সালের বসন্তকালীন আলোচনার দ্বিতীয় দিনে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক জানায় আইএমএফ। যেখানে ২০২৪ সালে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩.২ শতাংশ। ২০২৫ সালেও অপরিবর্তিত থাকবে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ৫.৭ শতাংশ অর্জন থাকবে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে।
আইএমএফ-ওয়ার্ল্ডব্যাংকের বসন্তকালীন এই আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে শিগগিরই দেশের মানুষ সরকারের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের সুফল পাবে।
বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাবে আইএমএফ জানায়, অর্থনীতির এই পুনরুত্থানের প্রক্রিয়ায় যেসব প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়ছে তাদের একীভূত হয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।