জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বুধবার বলেছেন, ইরানের হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিশোধ পুরো অঞ্চলকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার সত্যিকারের ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সাফাদি বলেন, তার দেশ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি বয়ে আনবে এমন উত্তেজনা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছে লবিং করছে।
"ঝুঁকি বিশাল। এটি পুরো অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা এ অঞ্চলে আমাদের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি বিশ্বের ওপর আমাদের খুব, খুব গুরুতর প্রভাব পড়বে," বলেছেন সাফাদি।
"পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। আঞ্চলিক বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বাস্তব, এবং এটি বন্ধ করতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আর কোনও উত্তেজনা যেন না বাড়ে।
মার্কিন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর মিত্র জর্ডান দেশটির ওপর দিয়ে জেরুজালেমের দিকে উড়ে আসা বেশিরভাগ ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
সাফাদি বলেন, 'এখন ইসরায়েলের ওপর চাপ থাকা উচিত যাতে তারা আর না বাড়ে,' উল্লেখ করে সাফাদি বলেন, তেহরান বলেছে, ১ এপ্রিল দামেস্কে তাদের দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েল জবাব না দিলে তারা আর এগোবে না।
জর্ডানের প্রতিবেশী সিরিয়া ও ইরাক – উভয় দেশেই ইরানের প্রক্সি বাহিনী কাজ করে – এবং ইসরায়েল ও ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের পাশেই অবস্থিত
"আমরা আগুনের মাঝখানে রয়েছি, তাই উভয় পক্ষকেই বুঝতে হবে যে আমাদের নিজেদের রক্ষা করতে এবং এই বৃদ্ধি রোধ করতে আমাদের যা করা দরকার তা আমরা করব," সাফাদি বলেছিলেন।
সাফাদি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার দেশ দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেবে এবং জর্ডান 'ইরান বা ইসরায়েল কাউকেই সৌদি আরবকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে দেবে না।
তিনি বলেন, 'আমাদের জনগণের জন্য হুমকি ও আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এমন যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র আমরা ভূপাতিত করব এবং জর্ডানের জনগণের জন্য হুমকি সৃষ্টি করব। আমরা ইসরায়েল ও ইরান উভয়কেই বিষয়টি পরিষ্কার করেছি। ইরাকের দিক থেকে আসা ইরানি ড্রোনগুলো জর্ডানের দক্ষিণাঞ্চল ও আকাবা শহরের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ইসরায়েলের এইলাত বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
সাফাদি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ইরানের সঙ্গে সংঘাতকে ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ও প্রধান পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে ইসরাইলি নেতাকে অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না।