ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- আপডেট সময় : ০২:১৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। আজ (শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরাইলের ওপর ড্রোন হামলা চালানোর কয়েকদিন পর এবার ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের একটি স্থাপনায় আঘাত করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এবিসি নিউজ জানিয়েছে।
ইরানের ফারস বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, দেশটির ইসফাহান শহরের একটি বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানা যায়নি। ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল নাতাঞ্জসহ ইসফাহান প্রদেশে বেশ কয়েকটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা অবস্থিত।
তবে ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি। একইসঙ্গে ইসফাহানের ওপরে ৩টি ড্রোন ধ্বংস করার কথাও জানানো হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাত দিয়ে শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন শনাক্ত করা হয় এবং রয়টার্সের মতে, দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ইরানের আধা-সরকারি মেহর নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট জানিয়েছে, শহরের বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ইসফাহান শহর ‘সম্পূর্ণ শান্ত এবং সুরক্ষিত’ রয়েছে। মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলাচল করছে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ইরানের আকাশসীমার ওপর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে।
সিরিয়ায় তেহরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলার পর গত সপ্তাহান্তে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরাইলে হামলা চালায় এবং প্রতিশোধমূলক সেই হামলায় শত শত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানি বাহিনী। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছে, ‘ইসরাইলকে আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে আর কোনও সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে।’