ইরানের মাটিতে ড্রোন হামলার পর এবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরাইল। এর আগে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ইস্ফাহান প্রদেশে ড্রোন হামলা করে তেলআবিব। ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা বন্ধ করে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুর্কিয়ে, রাশিয়া ও ফিনল্যান্ড।
ইসরাইল ভূখণ্ডে ইরানের হামলার পর শঙ্কা জাগে যেকোন সময় ইরানে হামলা চালাতে পারে তেলআবিব। আর সেটাই সত্যি হলো এবার। আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরাইল। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি তারা।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্ফাহান প্রদেশে ড্রোন হামলা করে ইসরাইল। যদিও এতে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইসরাইলের ছোঁড়া ৩টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে তেহরান। তবে হামলার পরপরই কিছুক্ষণের জন্য ইস্ফাহান, সিরাজ ও তেহরানে বিমান চলাচল স্থগিত করে প্রশাসন। পরে স্বাভাবিক হয় বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম।
ইসরাইল ভূখণ্ডে ইরানের শনিবারের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শোধ নিতে এ হামলা করে বলে জানায় তেলআবিব। আর পাল্টাপাল্টি ঘটনার মধ্য দিয়ে ভূ-রাজনীতিতে ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি ইরানের পারমানবিক গবেষণা কেন্দ্রেও ইসরাইল হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।
মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বিশ্লেষক জোনাথন লর্ড বলেন, ‘ইরানের হামলার প্রতিবাদে ইসরাইল তাদের ভূখণ্ডে আঘাত করেছে। ইসরাইলের এবারের হামলা সীমিত পরিসর ছিলো। তবে এর মধ্য দিয়ে ইরানের মাটিতে আঘাত করার সক্ষমতা রাখে ইসরাইল তাই প্রমাণ করেছে। এমনকি ইরানের পারমানবিক গবেষণা কেন্দ্রেও আঘাত করতে পারে ইসরাইল।’
ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা বন্ধ করতে হবে। তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলে হামলা করেছে ইরান। পরবর্তীতে পাল্টা পদক্ষেপও আসতে পারে। তাই এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইরান ও ইসরাইল উভয় পক্ষকেই নমনীয় হতে হবে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, ইরানে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলা করবে ইসরাইল। ইরাক আর সিরিয়ার সেনাঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে।