জাপান তাদের একটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারকে বিমানবাহী রণতরীতে পরিবর্তণ করেছে। এটি এখন সমুদ্রের বুকে যুদ্ধবিমান নিয়ে অভিযান চালাতে পারবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম বিমানবাহী রণতরী হাতে পেল জাপান। ‘জেএস কাগা’ নামের এই বিমানবাহী রণতরীটি আগে হেলিকপ্টার বহন করা হতো।
শান্তিপ্রিয় দেশের তকমা পাওয়া জাপান সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রতিরক্ষা নীতিতে বেশ পরিবর্তণ এনেছে। আতœরক্ষার খোলস ছেড়ে অগ্রাসি নীতি ধারণ করতে শুরু করেছে দেশটি। যার সর্বশেষ সংযোজন এই রণতরী।
প্রতিবেশি চীন এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক শিল্পে পাল্লা দিতে নীতির পরিবর্তণ করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইন্দো প্যাসেফিক স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর এক সময়ের পরাশক্তি জাপানের।
এই মাসের শুরুতে রণতরীটির সকল পরিবর্তণ শেষ হয় বলে জানিয়েছে জাপান মেরিটাইম সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্স। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলের এক পোষ্টে ক্যারিয়ারটির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। যেখানে যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের ডেকের দেখা পাওয়া যায়।
বিমানবাহী এই রণতরীতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট এফ-৩৫বি দেখা যাবে। তবে হালকা ওজনের এই রণতরীর ধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা দেয়া হয়নি।
‘জেএস ইজুমো’ নামের আরেকটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারকেও একইভাবে বিমানবাহী রণতরীতে পরিবর্তণ করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে জাপান মেরিটাইম সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্স। এই দুটি রণতরী চালু হওয়ার পর জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারও সামরিক শক্তিশালী প্রধান দেশগুলোর মধ্যে একটি হবে।