ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলা, ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অধিকৃত এই ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে তারা নিহত হন।

অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে হিংসাত্মক ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পৃথক হামলায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট শনিবার জানিয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া অভিযানে সেনারা ১০ সন্ত্রসীকে হত্যা করেছে।

এএফপি বলছে, এএফপি সাংবাদিকরা রাস্তায় এবং বাড়িঘরে বিস্ফোরণে নিহতদের মৃতদেহ দেখতে পেয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি ড্রোনগুলো পশ্চিম তীরের এই এলাকায় মাথার ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানগুলো ক্যাম্পের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। আর গত বছরের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি আরও বেড়েছে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা নূর শামস ক্যাম্প থেকে ১৪ জন শহীদকে হাসপাতালে সরিয়ে নিয়েছে।’

এর আগে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, তারা ইসরায়েলি অভিযানে ১১ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে সাতজন ‘বন্দুকের তাজা গুলিতে আহত হয়েছেন’। তাদের মধ্যে একজন প্যারামেডিকও রয়েছেন, আহতদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাকে গুলি করা হয়।

এদিকে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ‘অনেক সংখ্যক নিহত ও আহত’ মানুষ সম্পর্কে চিকিৎসকদের সতর্ক করা হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদের সেখানে প্রবেশের সুযোগ দিতে অস্বীকার করেছে’ বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এএফপির একজন সাংবাদিক বলেছেন, প্যারামেডিকরা ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করে। সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায় এবং সৈন্যরা ঘরে ঘরে অভিযান চালায় বলেও ওই সাংবাদিক জানান।

এদিকে পৃথক ঘটনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংস ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পৃথক হামলায় আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ৫০ বছর বয়সী ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক নাবলুস শহরের দক্ষিণে আল-সাওয়াইয়া গ্রামের কাছে ইসরায়েলিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি আহত লোকদের নিতে যাচ্ছিলেন এবং পরে গুলিতে প্রাণ হারান।

রয়টার্সের দাবি, বসতি স্থাপনকারীরা তাকে গুলি করেছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলা, ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অধিকৃত এই ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলে একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে তারা নিহত হন।

অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে হিংসাত্মক ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পৃথক হামলায় একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি অভিযানে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট শনিবার জানিয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া অভিযানে সেনারা ১০ সন্ত্রসীকে হত্যা করেছে।

এএফপি বলছে, এএফপি সাংবাদিকরা রাস্তায় এবং বাড়িঘরে বিস্ফোরণে নিহতদের মৃতদেহ দেখতে পেয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি ড্রোনগুলো পশ্চিম তীরের এই এলাকায় মাথার ওপর দিয়ে উড়ে চলেছে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানগুলো ক্যাম্পের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। আর গত বছরের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি আরও বেড়েছে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মীরা নূর শামস ক্যাম্প থেকে ১৪ জন শহীদকে হাসপাতালে সরিয়ে নিয়েছে।’

এর আগে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, তারা ইসরায়েলি অভিযানে ১১ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে সাতজন ‘বন্দুকের তাজা গুলিতে আহত হয়েছেন’। তাদের মধ্যে একজন প্যারামেডিকও রয়েছেন, আহতদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় তাকে গুলি করা হয়।

এদিকে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ‘অনেক সংখ্যক নিহত ও আহত’ মানুষ সম্পর্কে চিকিৎসকদের সতর্ক করা হলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদের সেখানে প্রবেশের সুযোগ দিতে অস্বীকার করেছে’ বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এএফপির একজন সাংবাদিক বলেছেন, প্যারামেডিকরা ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেনাবাহিনী তাদের প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকার করে। সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায় এবং সৈন্যরা ঘরে ঘরে অভিযান চালায় বলেও ওই সাংবাদিক জানান।

এদিকে পৃথক ঘটনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংস ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পৃথক হামলায় আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ৫০ বছর বয়সী ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক নাবলুস শহরের দক্ষিণে আল-সাওয়াইয়া গ্রামের কাছে ইসরায়েলিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি আহত লোকদের নিতে যাচ্ছিলেন এবং পরে গুলিতে প্রাণ হারান।

রয়টার্সের দাবি, বসতি স্থাপনকারীরা তাকে গুলি করেছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।