ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে এশিয়া। আবহাওয়া ও পানিসম্পর্কিত কারণে এই অঞ্চলটির ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘের আবহাওয়া অধিদপ্তর এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ ডব্লিউএমও। সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনে ২০২৩ সালে এশিয়ার যত ক্ষতি হয়েছে তা হয়েছিল বন্যা ও ঝড়ে। এ ছাড়া তীব্র দাবদাহেও হয়েছে ক্ষতি।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছেই। তবে, সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বাড়ছে এশিয়া অঞ্চলে। ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যেও গড়ে এতো তাপমাত্রা বাড়েনি অঞ্চলটিতে।

এক বিবৃতিতে বৈশ্বিক সংস্থাটি প্রধান সেলেস্তে সাউলো জানান, ২০২৩ সালে এশিয়ার অনেক দেশ রেকর্ডে উষ্ণতম বছর দেখেছে। এ ছাড়া খরা, দাবদাহ, বন্যা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও দেখেছে এশিয়াবাসী। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের ঘটনাগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি ও তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছে, গত বছর এশিয়ায় পানি সম্পর্কিত ৭৯টি দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। এর ৮০ শতাংশই ছিল বন্যা ও ঝড়। এসব দুর্যোগে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সরাসারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০ লাখ মানুষ। দ্য স্টেট অফ দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া শীর্ষক প্রতিবেদনেটিতে বলা হয়, বন্যাতেই এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।

গেল ৭ সেপ্টেম্বর হংকংয়ে ব্যাপকহারে বৃষ্টিপাত হয়। এক ঘণ্টায় ১৫৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় যা ছিল ১৮৮৪ সালের পর সর্বোচ্চ। টাইফুন সাওলার জেরেই দ্বীপ ভূখণ্ডটিতে বৃষ্টিপাত হয়।

২০২৩ সালে রেকর্ড তাপমাত্রায় এশিয়ার বরফাচ্ছন্ন পবর্তগুলোর হিমবাহ ব্যাপকহারে গলেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পর্বশৃঙ্খ হিমালয় ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তুষারপাত কম হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণপূর্ব চীন অনাবৃষ্টিতে খরায় ভুগছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বৃষ্টিপাত হয়নিও অঞ্চলটিতে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডাব্লিউএমও

আপডেট সময় : ০৭:৩১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে এশিয়া। আবহাওয়া ও পানিসম্পর্কিত কারণে এই অঞ্চলটির ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘের আবহাওয়া অধিদপ্তর এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ ডব্লিউএমও। সংস্থাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনে ২০২৩ সালে এশিয়ার যত ক্ষতি হয়েছে তা হয়েছিল বন্যা ও ঝড়ে। এ ছাড়া তীব্র দাবদাহেও হয়েছে ক্ষতি।

ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছেই। তবে, সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বাড়ছে এশিয়া অঞ্চলে। ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যেও গড়ে এতো তাপমাত্রা বাড়েনি অঞ্চলটিতে।

এক বিবৃতিতে বৈশ্বিক সংস্থাটি প্রধান সেলেস্তে সাউলো জানান, ২০২৩ সালে এশিয়ার অনেক দেশ রেকর্ডে উষ্ণতম বছর দেখেছে। এ ছাড়া খরা, দাবদাহ, বন্যা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও দেখেছে এশিয়াবাসী। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের ঘটনাগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি ও তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

প্রতিবেদনে ডব্লিউএমও জানিয়েছে, গত বছর এশিয়ায় পানি সম্পর্কিত ৭৯টি দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। এর ৮০ শতাংশই ছিল বন্যা ও ঝড়। এসব দুর্যোগে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সরাসারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০ লাখ মানুষ। দ্য স্টেট অফ দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া শীর্ষক প্রতিবেদনেটিতে বলা হয়, বন্যাতেই এশিয়ার সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।

গেল ৭ সেপ্টেম্বর হংকংয়ে ব্যাপকহারে বৃষ্টিপাত হয়। এক ঘণ্টায় ১৫৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় যা ছিল ১৮৮৪ সালের পর সর্বোচ্চ। টাইফুন সাওলার জেরেই দ্বীপ ভূখণ্ডটিতে বৃষ্টিপাত হয়।

২০২৩ সালে রেকর্ড তাপমাত্রায় এশিয়ার বরফাচ্ছন্ন পবর্তগুলোর হিমবাহ ব্যাপকহারে গলেছে। বিশ্বের বৃহত্তম পর্বশৃঙ্খ হিমালয় ও হিন্দুকুশ পর্বতমালা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তুষারপাত কম হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণপূর্ব চীন অনাবৃষ্টিতে খরায় ভুগছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বৃষ্টিপাত হয়নিও অঞ্চলটিতে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।