![](https://71newsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকার পর মিয়ানমার থেকে ফিরেছে ১৭৩ বাংলাদেশি। বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে পৌঁছায় মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইন।
এ সময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ দেশটির ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশিদের নিতে সকাল থেকে ঘাটে উপস্থিত হন তাদের স্বজনরা। বৃহস্পতিবার এই জাহাজে করেই ফেরত যাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৮৫ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য।
মিয়ানমার থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের, ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার রয়েছে একজন করে বাসিন্দা আছেন। তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে সাগর পারি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে আটক হয়েছিলেন। অনেকেই মাছ ধরতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মিয়ানমার সীমান্তে।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১৪৪ জন বাংলাদেশি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাদের সবার সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। বাকি ২৯ জনের সাজার মেয়াদ শেষ না হলেও এই ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের সময় তাদেরকে বিশেষ ক্ষমার আওতায় আনা হয়।
এরআগে গত মঙ্গলবার সকালে রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে রওনা দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইন।
মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় পৌনে তিন শ কিলোমিটার। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ওই বাংলাদেশিরা এই সীমানা পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছিল বলে জানাচ্ছে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।
আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এর আগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।