দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
- / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে তীব্র তাপদাহের মধ্যে গরম আর লোডশেডিংয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। রাজধানীর বাইরে লোডশেডিং বেশি হওয়ায় গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক জানালেন, পিডিবির আর্থিক সংকট আর বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি জ্বালানি আমদানিতে বড় সমস্যা। এ অবস্থায় বিদ্যুতে সাশ্রয়ী হতে রাত আটটার পর শপিং মল-দোকানপাট বন্ধে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে। তখনও বিদ্যুতের লোডশেড করতে হয়েছে ৪৬৭ মেগাওয়াট।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন সমস্যা না থাকলেও লোডশেডিংয়ে ভুগছে গ্রামের মানুষ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-আরইবির তথ্য বলছে, শনিবার সর্বোচ্চ লোডশেড ছিলো ৬৯০ মেগাওয়াট, রবিবার এটি বেড়ে হয় ৮২৪ মেগাওয়াট। সোমবার ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেড করতে হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে।
গরমের তীব্রতার সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদা আরো বাড়তে পারে। তখন এই বাড়তি চাহিদার যোগান কি বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে সম্ভব? পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক বলেন, লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘাটতি পল্লী বিদ্যুতের ওপর না চাপিয়ে সকল বিতরণ কোম্পানিকে ভাগ করে দেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।