আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা আছে, তা অমান্য করলে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। তাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহারের সময়সীমা ছাড়াও, নিজে নিজেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা সম্ভব। তাই শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে দল।
তিনি বলেন, বিএনপি ২৬ তারিখে কর্মসূচির নামে যাতে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে কারণেই মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। তবে, নির্বাচনের আগে রাজধানীতে দু’দলই একইদিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে। তাই ২৬ তারিখও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পথেই থাকবে আওয়ামী লীগ।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) স্বজনদের অংশ না নেওয়ার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তাদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থারও কথা বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের জানিয়ে দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সে অনুযায়ী, নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী ও এমপিদের বিষয়টি অবগত করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।