ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অন্য দেশের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখি না: মার্কিন কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকাস্থ দূতাবাসে ‘ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে ভারতের নেতৃত্বকে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টিকে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলো কীভাবে দেখে, এই প্রশ্নের জবাবে এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি নয়। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।

ম্যাক্সওয়েল আরও বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০–কে সমর্থন করে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই দিক থেকে বলছি।

মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অন্য দেশের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখি না: মার্কিন কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৯:০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকাস্থ দূতাবাসে ‘ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) ও বাংলাদেশের জন্য এর তাৎপর্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই দেশের অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।

দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে ভারতের নেতৃত্বকে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টিকে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলো কীভাবে দেখে, এই প্রশ্নের জবাবে এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কটা আমরা দ্বিপক্ষীয় প্রেক্ষাপট থেকেই দেখি। এই সম্পর্ককে আমরা অন্য দেশের লেন্স (দৃষ্টি) দিয়ে দেখি না।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ নানা জায়গায় শুনেছি যে ভারতের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সত্যি নয়। আমরা যদি দ্বিপক্ষীয় অভিন্ন স্বার্থের নিরিখে দেখি তাহলেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এটাই আমরা সরকার, গণমাধ্যমসহ সবাইকে জোর দিয়েই বলছি।

ম্যাক্সওয়েল আরও বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল-২০৩০–কে সমর্থন করে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। আইপিএসের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আগের সহযোগিতাগুলো এগিয়ে নিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের কোন দেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, চীনের মতো কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি ভবিষ্যতেও জোর খাটাতে পারে। যেটা দক্ষিণ চীন ও তাইওয়ানের ক্ষেত্রে ঘটেছে। আইপিএসের ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের আধিপত্যপাদী আচরণ দেখতে চাই না।

ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, আইপিএসের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বিশ্বের বাণিজ্যের বড় অংশটা হয় এই অঞ্চলজুড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নও হচ্ছে এই অঞ্চল ঘিরে। তাই বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল অবাধ ও মুক্ত ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি এবং সমৃদ্ধির স্বার্থের বিষয়গুলোতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এটা ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি। এই অঞ্চলের সব দেশ নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে অন্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে পারে। গঠনমূলক ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষাপট থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিবাচক নিরাপত্তা কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে থেকেই দিক থেকে বলছি।

মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামর্থ্য ও অবদানের সক্ষমতা দেখেছি। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সামর্থ্যের পাশাপাশি অন্যের সহায়তাও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে আমরা গর্বিত। উদাহরণ হিসেবে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা এক বিরাট দৃষ্টান্ত।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করছে, জানতে চাইলে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন অংশে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে।