আগামীকাল খুলছে স্কুল-কলেজ, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক
- আপডেট সময় : ০৩:২৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
- / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এই সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলেও তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। এই অবস্থায় সরকারি প্রাথমিকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১) ২৮ এপ্রিল (রোববার) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে।
২) এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
৩) দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।
৪) প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
৫) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
এর আগে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তাপদাহের মধ্যে আগামীকাল রোববার থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
এদিকে, আগামী ৪ মে থেকে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও স্কুল বন্ধ থাকায় যে শিখন ঘটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপদাহ ও অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।