ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

অবশেষে জেলায় জেলায় নামল বৃষ্টি, বজ্রাঘাতে নিহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • / ৪৬৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবশেষে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব কম বলে জানানো হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান।

গত দু-এক দিন ধরেই আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। তাদের পূর্বাভাস বিফলে যায়নি। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এর স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। স্থানীয়দের আশা সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।

এদিকে, চট্টগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা ফেনীতেও বৃষ্টি হচ্ছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, সারাদিন আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সকালে সর্বোচ্চ ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা শহরেও সকালে বৃষ্টি হয়েছে।

রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু ও সাতজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বজ্রাঘাতে রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) নামের দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও বাঘাইছড়ির বড়াদম গ্রামে স্বপন চাকমার দোকানে বজ্রাঘাতে সাতজন আহত হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর জানান, মো. নজির নামের এক ব্যক্তিকে জরুরিভাবে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন সকালে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার জন্য বড়শি নিয়ে বসে ছিলেন। এমন সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াছিন আরাফাত। ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে ইয়াছিন।

জানা যায়, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজ্রাঘাতে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে বিধিমোতাবেক সহযোগিতা করা হবে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫)।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রাজাখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাতে প্রচুর বজ্রাঘাত হয়। ভোরেও বজ্রাঘাত অব্যাহত থাকে। রাতের বৃষ্টিতে লবণমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষী আরমান তা পরিচর্চা করতে যায়। ওই সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

আজ ২ মে বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারা দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের আশেপাশে বৃষ্টি হলে শহরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। আজ সন্ধ্যার পর ঢাকায় বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে তবে তা খুব কম পরিমাণে। আজ ঢাকা বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম হলেও মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ এর দিকে হতে পারে, তবে তা খুব বেশি পরিমাণে নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত ৩ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এরপর ১ দিনের বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ তারিখ ঢাকা, রাজশাহী, সিলেটে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কমে যাবে, তখন একটু ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করবে।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক আরও জানিয়েছেন, আগামী ৭ মে সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবশেষে জেলায় জেলায় নামল বৃষ্টি, বজ্রাঘাতে নিহত ৫

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

অবশেষে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। দেশের কয়েকটি জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব কম বলে জানানো হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান।

গত দু-এক দিন ধরেই আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। তাদের পূর্বাভাস বিফলে যায়নি। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এর স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। স্থানীয়দের আশা সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।

এদিকে, চট্টগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা ফেনীতেও বৃষ্টি হচ্ছে। জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, সারাদিন আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সকালে সর্বোচ্চ ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা শহরেও সকালে বৃষ্টি হয়েছে।

রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে দুইজনের মৃত্যু ও সাতজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বজ্রাঘাতে রাঙামাটি সদরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ির বাহার জান বেগম (৫৫) নামের দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও বাঘাইছড়ির বড়াদম গ্রামে স্বপন চাকমার দোকানে বজ্রাঘাতে সাতজন আহত হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসর শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক গ্রামে গরু নিয়ে বের হওয়ার সময় বজ্রাঘাতে বাহারজান বেগম (৫৫) নামে একজন নারী নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. শওকত আকবর জানান, মো. নজির নামের এক ব্যক্তিকে জরুরিভাবে আনা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন সকালে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার জন্য বড়শি নিয়ে বসে ছিলেন। এমন সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রাঘাতে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইয়াছিন আরাফাত। ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে ইয়াছিন।

জানা যায়, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজ্রাঘাতে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে বিধিমোতাবেক সহযোগিতা করা হবে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই লবণচাষীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া এলাকার জমিরের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৫) ওরাজাখালী ইউনিয়নের ছড়ি পাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. আরমান (২৫)।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী জানান, মগনামার কোদাইল্যাদিয়ায় ভোরে দিদার লবণ মাঠ পরিচর্যা করতে গেলে হঠাৎ বজ্রাঘাতে দগ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

রাজাখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, বুধবার রাতে প্রচুর বজ্রাঘাত হয়। ভোরেও বজ্রাঘাত অব্যাহত থাকে। রাতের বৃষ্টিতে লবণমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চাষী আরমান তা পরিচর্চা করতে যায়। ওই সময় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়।

আজ ২ মে বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারা দেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের আশেপাশে বৃষ্টি হলে শহরে কিছুটা প্রভাব পড়বে। আজ সন্ধ্যার পর ঢাকায় বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে তবে তা খুব কম পরিমাণে। আজ ঢাকা বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম হলেও মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ এর দিকে হতে পারে, তবে তা খুব বেশি পরিমাণে নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত ৩ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এরপর ১ দিনের বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ তারিখ ঢাকা, রাজশাহী, সিলেটে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের এই অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কমে যাবে, তখন একটু ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করবে।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক আরও জানিয়েছেন, আগামী ৭ মে সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।