ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যে যত বেশি শক্তিমান, সে তত বড় ঋণখেলাপি : ড. ফরাসউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • / ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের বিদ্যমান ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, ‘এখন যে যত বেশি শক্তিমান, সে তত বড় ঋণখেলাপি। তার সুদ মওকুফও হয় তত বেশি।’

অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।

ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘যখন ঋণ খেলাপিওয়ালারা বেশি বড় হয়ে যায়, তখন এক হাজার টাকা কৃষিঋণের কারণে কেউ জেলে যায়, আর ১০ হাজার কোটি টাকা শিল্পঋণের খেলাপি গ্রাহকরা সরকারের পাশে বসে।’

ফরাসউদ্দিন আরও বলেন, ‘দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে বছরে ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে, এটা নিয়ে কেউ কিছু বলে না। সরকার নিশ্চুপ, রহস্যজনকভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) এ নিয়ে কিছু বলে না। ঋণখেলাপি, করখেলাপি ও অর্থ পাচারকারী এক সূত্রে গাঁথা।’

জোর করে ব্যাংক একীভূত করা যাবে না উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন আরও বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতে এটা করতে হবে। কিন্তু খারাপ ব্যাংক ভালো করার এটাই একমাত্র উপায় না। এর বিকল্প নিয়ে এখনই চিন্তা করতে হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। সঞ্চালক ছিলেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

নিউজটি শেয়ার করুন

যে যত বেশি শক্তিমান, সে তত বড় ঋণখেলাপি : ড. ফরাসউদ্দিন

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

দেশের বিদ্যমান ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, ‘এখন যে যত বেশি শক্তিমান, সে তত বড় ঋণখেলাপি। তার সুদ মওকুফও হয় তত বেশি।’

অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।

ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘যখন ঋণ খেলাপিওয়ালারা বেশি বড় হয়ে যায়, তখন এক হাজার টাকা কৃষিঋণের কারণে কেউ জেলে যায়, আর ১০ হাজার কোটি টাকা শিল্পঋণের খেলাপি গ্রাহকরা সরকারের পাশে বসে।’

ফরাসউদ্দিন আরও বলেন, ‘দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে বছরে ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে, এটা নিয়ে কেউ কিছু বলে না। সরকার নিশ্চুপ, রহস্যজনকভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) এ নিয়ে কিছু বলে না। ঋণখেলাপি, করখেলাপি ও অর্থ পাচারকারী এক সূত্রে গাঁথা।’

জোর করে ব্যাংক একীভূত করা যাবে না উল্লেখ করে ফরাসউদ্দিন আরও বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতে এটা করতে হবে। কিন্তু খারাপ ব্যাংক ভালো করার এটাই একমাত্র উপায় না। এর বিকল্প নিয়ে এখনই চিন্তা করতে হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফে সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। সঞ্চালক ছিলেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।