ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পক্ষে ফের সরব প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • / ৩৯৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ফের সরব হয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে স্থল সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দিতে চান না। তার মতে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যায় এবং কিয়েভের সরকার তেমন কোনও অনুরোধ করে (তাহলে সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে)।

দ্য ইকোনমিস্টের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রগতির মুখে ইউক্রেনকে সমর্থন করে তার আগের বিবৃতিগুলোও পুনরায় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়ানরা ফ্রন্টলাইন ভেঙে সামনে এগোতে থাকে, যদি (সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে) ইউক্রেনীয় অনুরোধ আসে, যা আজ পর্যন্ত হয়নি, তাহলে আমাদের বৈধভাবে নিজেদেরকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করতে হবে।’

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেই মন্তব্যের পরে অবশ্য পশ্চিমা মিত্রদের অনেকেরই সমর্থন পাননি তিনি।

আল জাজিরা বলছে, এই বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনে পশ্চিমা সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি বাতিল না করার বিষয়ে করা সেই মন্তব্যে তিনি অটল আছেন কিনা জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ বলেন: ‘অবশ্যই। আমি যেমন বলেছি, আমি কোনো কিছু বাতিল করছি না, কারণ আমরা এমন একজনের মুখোমুখি হচ্ছি- যে কোনো কিছুই বাতিল করছে না।’

ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিসহ এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে আগ্রাসী হয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমার একটি স্পষ্ট কৌশলগত উদ্দেশ্য রয়েছে: রাশিয়া ইউক্রেনে জিততে পারবে না।’

দ্য ইকোনমিস্টকে তিনি বলেন, ‘যদি ইউক্রেনে রাশিয়া জয়ী হয়, তাহলে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। কে বলতে পারবে যে, রাশিয়া সেখানেই থেমে যাবে? অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ মলদোভা, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং অন্যান্যদের জন্য তখন কী নিরাপত্তা থাকবে?’

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পক্ষে ফের সরব প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ

আপডেট সময় : ০৫:৫২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে ফের সরব হয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তিনি ইউক্রেনে স্থল সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দিতে চান না। তার মতে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যায় এবং কিয়েভের সরকার তেমন কোনও অনুরোধ করে (তাহলে সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে)।

দ্য ইকোনমিস্টের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রগতির মুখে ইউক্রেনকে সমর্থন করে তার আগের বিবৃতিগুলোও পুনরায় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়ানরা ফ্রন্টলাইন ভেঙে সামনে এগোতে থাকে, যদি (সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে) ইউক্রেনীয় অনুরোধ আসে, যা আজ পর্যন্ত হয়নি, তাহলে আমাদের বৈধভাবে নিজেদেরকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করতে হবে।’

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেই মন্তব্যের পরে অবশ্য পশ্চিমা মিত্রদের অনেকেরই সমর্থন পাননি তিনি।

আল জাজিরা বলছে, এই বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনে পশ্চিমা সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি বাতিল না করার বিষয়ে করা সেই মন্তব্যে তিনি অটল আছেন কিনা জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ বলেন: ‘অবশ্যই। আমি যেমন বলেছি, আমি কোনো কিছু বাতিল করছি না, কারণ আমরা এমন একজনের মুখোমুখি হচ্ছি- যে কোনো কিছুই বাতিল করছে না।’

ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিসহ এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে আগ্রাসী হয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমার একটি স্পষ্ট কৌশলগত উদ্দেশ্য রয়েছে: রাশিয়া ইউক্রেনে জিততে পারবে না।’

দ্য ইকোনমিস্টকে তিনি বলেন, ‘যদি ইউক্রেনে রাশিয়া জয়ী হয়, তাহলে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না। কে বলতে পারবে যে, রাশিয়া সেখানেই থেমে যাবে? অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ মলদোভা, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং অন্যান্যদের জন্য তখন কী নিরাপত্তা থাকবে?’